খাদ্যাভাব ঠেকাতে উৎপাদন ও খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রম সচল রাখতে হবে

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং ভবিষ্যতে খাদ্যাভাব ঠেকাতে কৃষিজ উৎপাদন ও খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রম মসৃণ রাখতে হবে। এ ব্যাপারে এখনই তৎপরতা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। সকলের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
সমন্বয় সভায় কথা বলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। ছবি: স্টার

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং ভবিষ্যতে খাদ্যাভাব ঠেকাতে কৃষিজ উৎপাদন ও খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রম মসৃণ রাখতে হবে। এ ব্যাপারে এখনই তৎপরতা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। সকলের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হবে।

মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম বিষয়ক সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কাজে মানিকগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির বিন আনোয়ার।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল হুদা সেলিম, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাজাহান আলী বিশ্বাসসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ।

সভার শুরুতে জেলা প্রশাসক মানিকগঞ্জের করোনা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর একে একে উপস্থিত সকলেই তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার তার বক্তব্যে চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ, অভ্যাস ও কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন। হাসপাতাল ও চিকিৎসা সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যতে খাদ্যাভাব যেনো না হয় সেলক্ষ্যে কৃষিজ উৎপাদন ও খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রম মসৃণ রাখতে সকলের সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় একজন করে সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি জরুরি আদেশ জারি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত ওই আদেশে জানানো হয় জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেলার সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগনের সঙ্গে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা কাজ তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ করবেন।

এছাড়া জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা, চ্যালেঞ্জ অথবা অন্যবিধ বিষয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থাকে লিখিতভাবে জানাবেন এবং মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে নিয়মিত অবহিত করবেন।

Comments