আনুশকার কাছ থেকে ধৈর্য শিখেছেন কোহলি

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আগ্রাসী থাকলেও তার মধ্যে ছিল ছটফটে ভাব। কোহলির ইতিবাচক থাকা এবং ধৈর্য ধরার ভারসাম্য এসেছে মূলত আনুশকা শর্মার সঙ্গে সম্পর্কের পর।
Virat Kohli and Anushka Sharma
ছবি: সংগ্রহ

মাঠে বরাবরই আগ্রাসী থাকেন বিরাট কোহলি, নিজের পক্ষে ফল আনতে তার শরীরী ভাষা নানান সময়েই থেকেছে আলোচনায়। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও তার সঙ্গে মানিয়ে চলে তার লড়াই। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আগ্রাসী থাকলেও তার মধ্যে ছিল ছটফটে ভাব। কোহলির ইতিবাচক থাকা এবং ধৈর্য ধরার ভারসাম্য এসেছে মূলত আনুশকা শর্মার সঙ্গে সম্পর্কের পর।

বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী আনুশকার সঙ্গে ২০১৩ সালে পরিচয় কোহলি। ২০১৭ সালে বিয়ে করেন ভারতের দুই ভুবনের দুই বড় তারকা।

বুধবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক অনলাইন সেশনে এসেছিলেন দুই তারকা। মানুষকে উৎসাহ যোগানোর সেই সেশনে ভারত অধিনায়ক জানিয়েছেন, তিনি নিজেও এক সময় ছিলেন অস্থির, সাফল্যের পথে স্থিতধী থাকতে তাকে শিখিয়েছেন জীবনসঙ্গী আনুশকা,  ‘আসলে আমি আর আনুশকা দুজনে দুজনের সঙ্গে মেশার পর ধৈর্য ব্যাপারটা খুব রপ্ত করেছি। আমি আগে অধৈর্য ছিলাম। ওর ব্যক্তিত্ব দেখে শিখেছি, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ও যেভাবে স্থির থেকে সামাল দেয় সব কিছু তা আমাকে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে শিখিয়েছে।‘

কোহলির মতে অনেক সময় পরিস্থিতি এমন আসতে পারে যখন কীনা নিজেকে গুটিয়ে রাখতে হয়, ‘মাঝে মাঝে নিজের অহংবোধ দমিয়ে রাখতে হয়, প্রতিকূলতার সঙ্গে জিততে কৌশল নিতে হয়। আমি ওর কাছ থেকে এসব দেখে শিখেছি। দলের প্রয়োজনে অনেক সময় টেস্ট ম্যাচে দুই ঘণ্টা ক্রিজে পড়ে থেকে ২০ রান করতে হতে পারে। ধরন বদলে সেটা করতে হবে।’

এমনিতে দৃঢ়চেতা বলে পরিচিত কোহলির ক্যারিয়ারের শুরু দিকে ভেঙে পড়ার ঘটনাও আছে। একবার রাজ্য দলে সুযোগ না পেয়ে রাতভর চিৎকার করে কান্নাকাটিও করেছিলেন তিনি, ‘যখন প্রথমবার রাজ্য দলে সুযোগ পেলাম না, সেদিন আমি অনেক রাত পর্যন্ত কেঁদেছি। মনে আছে রাত ৩টা পর্যন্ত আমি চিৎকার করে কান্নাকাটি করেছিলাম। রান করার পরও সুযোগ না পাওয়া বিশ্বাস করতে পারেনি।’

‘কোচকে জিজ্ঞেস করেছিলাম “কেন সুযোগ পাইনি”। কোন যুক্তি পাইনি। যাইহোক নিজের ভেতরে  যদি প্রবল নিবেদন থাকে তাহলে আবার প্রেরণা পাওয়া যায় এগুনোর।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Is Raushan's political career coming to an end?

With Raushan Ershad not participating in the January 7 parliamentary election, questions have arisen whether the 27-year political career of the Jatiya Party chief patron and opposition leader is coming to an end

2h ago