সাতক্ষীরায় এবার চালু হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ ইফতার বাজার
সাতক্ষীরায় প্রথম রমযান থেকে চালু হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ ইফতারি বাজার। প্রাথমিকভাবে জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা সদরে এ বাজার চালু করা হবে।
এর আগে সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মানুষকে ঘরে রাখতে ‘নো প্রোফিট, নো লস’ এ ধারণা নিয়ে ভ্রাম্যমাণ বাজারসহ ব্যতিক্রমী কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তা চালু করা হয়। আর এর মাধ্যমে মানুষ বাড়ির কাছ থেকে বা ঘরে বসে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারছেন।
গতকাল সকালে নয়টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পোস্ট অফিস মোড়, কাটিয়া মোড়, পুরাতন সাতক্ষীরা, আমতলা মোড় ও খুলনা রোড মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে- পিকআপ ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে করে ভ্রাম্যমাণ বাজার থেকে মানুষ প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন। সেখানে বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজ, তেলসহ নানা ধরণের শাক-সবজি।
চাল কিনতে আসা কাটিয়ার আব্দুর সবুর জানান, বাড়ির বাজার থাকায় সুবিধা হয়েছে। এছাড়া দামও নাগালের মধ্যে।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলায় ‘ফ্রেস অ্যান্ড সেফ ফিস’ অনলাইন মার্কেট চালু করা হয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বন্দী হয়ে আছেন। তাই, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে বাজারে যেতে পারছেন না। আমিষের চাহিদের পূরণ ও ঘরে বসে মানুষ যাতে টাটকা মাছ খেতে পারে এই লক্ষ্যে উপজেলা মৎস্য বিভাগের ব্যবস্থাপনা ও উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগের এ বাজার চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে চালু হওয়া ‘ফ্রেস অ্যান্ড সেফ ফিস’ মার্কেট ভালো সাড়া জাগিয়েছে।
শ্যামনগর সংসদ সদস্য এস. এম জগলুল হায়দার জানান, মানুষকে যাতে ঘরের বাইর বের হতে না হয় এ জন্য স্থানীয়ভাবে একটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা দল গঠন করেছেন। সাধারণ রোগের জন্য তাদের কাছে মোবাইল করলে তারা হাজির হয়ে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস. এম মোস্তফা কামাল জানান, মানুষকে ঘরে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ পর্যন্ত দুই হাজার মানুষকে ও ৪৮ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮৭ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এছাড়া লোক সমাগত কমাতে জেলা সদর ও উপজেলার ৮৭ টি বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে প্রশস্ত স্থানে।
তিনি আরও জাানান, মানুষকে ঘরে রাখতে ও লোক সমাগম কমাতে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালুর উদ্যোগ নিয়ে গত ১৭ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা শহরে দুইটি পিকআপে ‘নো প্রোফিট, নো লস’ ধারণা থেকে ভ্রাম্যমান আদালত চালু হয়েছে। এতে ভালো সাড়া পাওয়ায় আরও দুইটি ট্রাকের পাশাপাশি পৌরসভার মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের ৩-১০টি করে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। ফলে, ঘরবন্দী মানুষ ঘরে বসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছেন। আবার মানুষ সমাগম অনেকাংশে কমেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রথম রমযান থেকে চালু করা হবে ভ্রাম্যমাণ ইফতারি বাজার।’
Comments