মহেশখালীতে পানের হাট বন্ধ, বিকল্প উপায়ে চলবে বেচাকেনা

মহেশখালীতে করোনা আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায়, আজ শনিবার থেকে উপজেলার সকল পানের বাজার ও হাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মহেশখালীতে করোনা আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায়, আজ শনিবার থেকে উপজেলার সকল পানের বাজার ও হাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মহেশখালীতে উৎপাদিত পান বেচাকেনার জন্য উপজেলার হোয়ানক, কালারছড়া, গোরকঘাটা, ছোট মহেশখালী, শাপলাপুর ও কুতুবজোমসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক সময়ে বসে বিশাল পানের হাট। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এখানে পান কিনতে আসেন ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক ও আড়তদারেরা।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘পান যেহেতু পচনশীল তাই হাট বন্ধ থাকলেও প্রশাসন বিকল্প ব্যবস্থায় পান বিক্রি করবে। প্রশাসন পক্ষ থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন আড়ত, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীদের কাছে পান বিক্রি করে মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পান চাষিদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।’

তিনি জানান, প্রশাসন মাঠ পর্যায়ের পান চাষিদের তালিকা করে ওই তালিকা ধরে উৎপাদিত পান সংগ্রহ করবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পান নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে রাখবেন। এরপর প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত শ্রমিকেরা তা আড়তদার, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের বুঝিয়ে দেবে।

আড়তদার, বড় বড় ব্যবসায়ী, মোকাম ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে প্রশাসন ইন্টারনেট, মোবাইলসহ অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের চাহিদা মতো পান সরবরাহ করবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, উপজেলার পান বাজার ও হাটগুলোতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। এটা ঠেকানা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই হাটগুলো বন্ধ করে দিয়ে বিকল্প উপায়ে পান বেচাকেনার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।

মহেশখালীতে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, পান চাষিদের যেমন রক্ষা করতে হবে, তেমনি দ্বীপবাসীকেও বাঁচাতে হবে।

Comments