বিশ্বকাপ জেতা মেডেল লাপাত্তা, ‘পাগলের মতো’ খুঁজছেন আর্চার
অমন ঐতিহাসিক স্মারক কেউ হারিয়ে ফেলে? জোফরা আর্চারের কাছে এখন বিস্ময়কর দৃষ্টিতে এমন প্রশ্ন যেতেই পারে। গেল বছর ইংল্যান্ডের প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতায় বড় অবদান ছিল বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া আর্চারের। চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ হিসেবে পেয়েছিলেন মেডেল। নিশ্চিতভাবেই সেটা সারাজীবনের সঙ্গী হওয়ার কথা। অথচ সেটাই নাকি এখন লাপাত্তা। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে আইসোলেশনের সময়ে আর্চারের এখন প্রধান কাজ ওই ‘মেডেল’ খুঁজে বের করা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসের রোমাঞ্চকর ফাইনালে সুপার ওভার করেছিলেন আর্চার। স্নায়ুচাপ সামলে ইংল্যান্ডকে জেতানও তিনি। গতির ঝড়ে ২৫ বছর বয়েসী আর্চার অবশ্য পুরো বিশ্বকাপই ছিলেন ইংলিশদের তুরুপের তাস কিংবা বলা যায় ‘এক্স ফ্যাক্টর।’
করোনার সময়ে কেমন কাটছে তার দিনকাল। খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় আরেক খবর। বিবিসি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানান হারিয়ে ফেলেছেন অমূল্য সম্পদ মেডেলখানা, ‘একজন আমাকে একটা পোট্রেট করে দিয়েছিল। সেখানেই মেডেল ঝুলানো ছিল।’
‘আমি ফ্ল্যাট বদল করে সেই ছবি এনে নতুন দেয়ালে লাগালাম কিন্তু আবিষ্কার করি মেডেল নেই! এক সপ্তাহ পুরো বাড়ির উপর নিচ তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। কোথাও পাচ্ছি না।’
চুরি হয়নি কিংবা রাস্তায় কোথাও পড়েনি। আর্চার মনে করেন বাড়িতেই আছে এই স্মারক, ‘আমি জানি এটা বাড়ির কোথাও না কোথাও আছে। কিন্তু পাচ্ছি না। এটা খুঁজতে খুঁজতে আমার পাগল অবস্থা।’
গত মাসে বার্বাডোজ থেকে ইংল্যান্ডে ফেরেন আর্চার। কিন্তু করোনার কারণে ইংলিশ মৌসুম শুরু না হওয়ায় ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা নেই। এই সময়টা তাই তার কাটছে হারানো মেডেল খুঁজে বের করা নিয়ে, ‘আইসোলেশনের এই সময়ে এছাড়া আমার আর কিছু করার নেই।’
Comments