লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও নোয়াখালীর সেনবাগে করোনা উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেনবাগে মৃত শ্রমিকের মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেছেন চার সহকর্মী। তাদের খোঁজে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আজ রোববার সকালে নিজ বাড়িতে ৩৫ বছরের এক ব্যক্তি মারা যান।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ১০-১২ দিন আগে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। সপ্তাহখানেক আগে স্থানীয় এক চিকিৎসা সহকারীর কাছে গেলে তাকে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি সেটি করেননি। আজ ওই ব্যক্তি মারা গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম ও পুলিশ মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে এবং তার বাড়িটি লকডাউন করে দেয়। পরীক্ষার জন্য দুপুরে নমুনা চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর সেনবাগে জ্বর, কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল রাতে ৫৫ বছরের এক নির্মাণ শ্রমিক মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপে বলে জানা গেছে।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের বলেন, গত ৩ দিন যাবৎ জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। শনিবার রাত ২ টার পরে কোনো এক সময় তিনি মারা যান। সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও সেনবাগ থানা পুলিশ মৃত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা একজনের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ থেকে ওই ব্যক্তিসহ পাঁচ নির্মাণ শ্রমিক ডুমুরিয়ার কাজ করতে আসেন। এদেও মধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেলে তার মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান বাকি চার সহকর্মী। পালিয়ে যাওয়াদের বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, পালিয়ে আসা শ্রমিকদের ব্যাপারে খোঁজ নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments