ওএমএস’র চাল ছিনিয়ে নিলো এলাকাবাসী

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় খোলাবাজারে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব ওএমএস কর্মসূচির চাল ছিনিয়ে নিয়েছে এলাকাবাসী। আজ রবিবার সকালে উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় খোলাবাজারে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব ওএমএস কর্মসূচির চাল ছিনিয়ে নিয়েছে এলাকাবাসী। আজ রবিবার সকালে উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ট্রাকে বিশেষ ওএমএস কর্মসূচির ৫৭০ বস্তা চাল ছিল। এই চাল মনিকপুর, কসকনকপুর ও বারঠাকুরী ইউনিয়ন এলাকায় কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য গতকাল রাতে সিলেট থেকে পাঠানো হয়। কালীগঞ্জ বাজারে মানিকপুর ও কসকনকপুর ইউনিয়নের ডিলারের ব্যক্তিগত চালের দোকান আছে।’

‘এলাকাবাসী বলে, কসকনকপুর ইউনিয়নের ডিলার তার এলাকায় চাল না নিয়ে সরিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যে কালীগঞ্জে নিয়ে এসেছে। ট্রাকের চাল লুট শুরু হলে প্রথমে যারা বাধা দিয়েছিল, তারাও যোগ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কিছু চাল উদ্ধার করতে পেরেছে’— বলেন মাহতাব হোসেন চৌধুরী।

জকিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ বলেন, ‘চাল যে আসবে তা আমরা আগে থেকে অবগত ছিলাম না। গণ্ডগোল হচ্ছে জেনে দ্রুত কালীগঞ্জ বাজারে পৌঁছে মানিকপুরের ডিলারের দোকানে ১৪ বস্তা ও কসকনকপুর ইউনিয়নের ডিলারের ব্যক্তিগত দোকানের সামনে প্রায় ২৬ বস্তা চাল পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কসকনকপুর ইউনিয়নের ডিলার দাবি করেছে, তাকে ফাঁসাতে কেউ তার দোকানের সামনে চালের বস্তাগুলো ফেলে গেছে। এলাকাবাসী ট্রাকের চাল ছিনিয়ে নিয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত কিছু চাল উদ্ধার করতে পেরেছে। বাকিটা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও গণমাধ্যম) লুৎফুর রহমান বলেন, ‘চাল সরানোর অভিযোগ ও লুটপাটের বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি। তারপর এ বিষয়ে মামলা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় দুজন ডিলার, ট্রাকের চালক ও তার সহযোগী এবং স্থানীয় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে, বাকি চাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

16m ago