চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন দুই লেগই 'অ্যাওয়ে ম্যাচ' নেইমার-এমবাপেদের জন্য

psg mbappe neymar
ছবি: পিএসজি টুইটার

বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সে কোন ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি নেই সরকারের পক্ষে থেকে। এমনকি দর্শকশূন্য মাঠেও আয়োজন সম্ভবপর নয় বলে জানিয়েছে তারা। চলতি মৌসুমের লিগ ওয়ান সম্পূর্ণ বাতিল।

আর সরকারী এ সিদ্ধান্তে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) আরও একটি লিগ শিরোপা ফসকে গেলো। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চালিয়ে যেতে চায় তারা। প্রয়োজনে নিজেদের হোম ম্যাচও দেশের বাইরে কোথাও আয়োজন করে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাবটি।

এক বিবৃতিতে পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফি বলেছেন, 'ফরাসী সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। আমরা উয়েফার চুক্তি অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যখন যেভাবে হবে তা চালিয়ে যেতে চাই। যদি এটা ফ্রান্সে সম্ভব না হয় তাহলে আমাদের খেলোয়াড়দের ও স্টাফদের জন্য সেরা কন্ডিশন ও নিরাপদ স্থান অনুযায়ী অন্য কোন দেশে অনুষ্ঠিত হবে।'

আর এমনটা হলে মূলত দুই লেগের ম্যাচই অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে হবে নেইমার-এমবাপেদের। পিএসজির মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে আছে ফ্রান্সের আরও একটি দল লিঁও-ও। কিন্তু তারা কীভাবে পরবর্তী ম্যাচ খেলবে কিংবা আদৌ খেলবে কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানায়নি লিঁও কর্তৃপক্ষ।

এর আগে শেষ ষোলোর ম্যাচে জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে প্রথম লেগে ২-১ গোলে হারলেও পরের লেগে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফরাসী চ্যাম্পিয়নরা।

আগের দিন ফ্রান্সের ফুটবলের ভবিষ্যতের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপে বলেছেন, 'সেপ্টেম্বরের আগে কোনো বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হওয়া সম্ভব নয়। ২০১৯-২০ পেশাদার ফুটবল মৌসুম আবার শুরু করা যাবে না।' আর এ ঘোষণার পরই নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলে পিএসজি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, লিগ ওয়ানের শিরোপা প্রায় নিশ্চিতই ছিল পিএসজির। লিগের বাকি মাত্র ১০ ম্যাচ। এক ম্যাচ কম খেলেই দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্শেইর চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে তারা। কিন্তু সরকারী সিদ্ধান্তে হাতছাড়া হলো একটি নিশ্চিত শিরোপা। তবে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বপ্নে বিভোর দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

8h ago