২ হাজার ডাক্তার ও ৫ হাজার নার্স নিয়োগে তালিকা প্রকাশ
![৪৩তম বিসিএস ৪৩তম বিসিএস](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/psc-logo-1_0_0.jpg?itok=Gr22ZJQ0×tamp=1703511824)
করোনা সংকট মোকাবিলায় দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে তালিকা প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
আজ বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে পিএসসি। পিএসসির ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) এই তালিকা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটেও এই তালিকা পাওয়া যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পিএসসি।
৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এই দুই হাজার চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের নিয়োগের জন্য করা সুপারিশে পিএসসি বলেছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সহকারী সার্জন হিসেবে এই দুই হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সাময়িক সুপারিশ করা হলো।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সেবা পরিদপ্তরের আওতায় চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ৬০০ মিডওয়াইফ নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। সে সময় পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৯০০ জন। চূড়ান্ত ফলে ১০ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে পাঁচ হাজার ১০০ জনকে নিয়োগের জন্য বাছাই করে পিএসসি। যারা তখন নিয়োগ পাননি, তাদের মধ্যে থেকে এখন পাঁচ হাজার ৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি। যদিও সরকার ছয় হাজার নার্স চেয়েছিল, তবে অপেক্ষমাণ তালিকায় না থাকায় পিএসসি পাঁচ হাজার ৫৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।
গত ২৮ এপ্রিল দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদনেই জানানো হয়, দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগের বিষয়টি দ্রুত চূড়ান্ত হচ্ছে। সেদিন এ বিষয়ে পিএসসিতে জরুরি একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই গত দুই দিনে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়।
পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘সবাইকে বুঝতে হবে এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। এই নিয়োগকে ভবিষ্যতে উদাহরণ হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। সরকারের কাছ থেকে ডাক্তার ও নার্স নিয়োগের চাহিদা পাওয়ার পর কত দ্রুত সময় সেই নিয়োগ দেওয়া যায়, আমরা সেই উদ্যোগ নেই। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবার পরীক্ষা— এগুলো দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সেই কারণেই ৩৯তম বিসিএস ও ২০১৮ সালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষার অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এই নিয়োগ।’
‘দ্রুততম সময়ে এই নিয়োগ দিতে ছুটির মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি আমরা। নিয়োগ পাওয়া এই চিকিৎসক ও নার্সরা চলমান সংকটময় সময়ে জাতির সেবা করবে, সেটাই আমাদের আশা’, যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংকটে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত তিন শর বেশি চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে আরও বেশকিছু চিকিৎসককে কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে। এ ছাড়া, নতুন করে কিছু হাসপাতালও করা হচ্ছে। তাই জনবল সংকট মোকাবিলায় দুই হাজার নতুন ডাক্তার এবং ছয় হাজার নতুন নার্স নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয় পিএসসিতে। নতুন চিকিৎসক ও নার্সরা নিয়োগ পেলে সংকট মোকাবিলায় কিছুটা গতি আসবে বলে আশা করছে সরকার।
Comments