প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
‘জাটকায় ভরে গেছে মানিকগঞ্জের হাট-বাজার’ শিরোনামে গত ১৮ এপ্রিল দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মুনিরুজ্জামান।
গত ২৩ এপ্রিল পাঠানো প্রতিবাদে মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ‘জাটকায় ভরে গেছে মানিকগঞ্জের হাট-বাজার’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয়। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের অসত্য সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
প্রতিবাদে মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘প্রকাশিত সংবাদকে অসত্য বলার কারণ হলো, মানিকগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিয়মিত হাটবাজার পরিদর্শন করে থাকেন এবং হাট-বাজার ও নদীতে অভিযান/মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। প্রতি বছর বছর নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত জাটকা নিধন বন্ধে (ইলিশ নয়) এটি রুটিন ওয়ার্ক।’
‘আপনি যে সমস্ত বাজারের নাম উল্লেখ করেছেন, সে সমস্ত বাজার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সদর এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব), শিবালয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। বাজারে সার্ডিন, বড় চোখা, ইলশে গুড়ি ইত্যাদি মাছ বিক্রি হয় যা দেখতে ইলিশের মতো। অনেক সময় জেলেরা এগুলোকে ইলিশ বা জাটকা হিসেবে বিক্রি করে যা আমি আপনাকে মোবাইল ফোনে বলেছিলাম! আপনি হয়তো সেগুলো দেখেছেন। আপনি বেউথা বাজার থেকে তোলা যে ছবি আমাকে দিয়েছেন, তার সাথে পত্রিকায় প্রকাশিত ছবির হুবহু মিল পাওয়া যাচ্ছে না’— বলেন মো. মুনিরুজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। আমাদের কর্মকর্তাগণ তা নিয়ে কাজ করছেন। চাষিগণ যেন মাছ চাষ থেকে বিরত না থাকে, দেশে যেন মাছের ঘাটতি না দেখা দেয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের কর্মকর্তাগণ প্রশাসনের সাথে ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। করোনাভাইরাসের মহামারির মুহূর্তে এ ধরনের অসত্য খবর প্রকাশ করা মোটেও ঠিক হয়নি।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য
জাটকা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাট-বাজার পরিদর্শন করে কোন ধরনের মাছ পেয়েছেন প্রতিবাদে তা উল্লেখ করা হয়নি। ইলিশের জাটকা না দাবি করা হলেও, ওই দিন বাজারে ইলিশে মতো দেখতে কোন মাছ বিক্রি করা হয়েছে সে বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিশ্চিত নন। প্রকাশিত সংবাদে ছবি সম্পাদনার কারণে আকৃতিগত পরিবর্তন হয়েছে, ভিন্ন ছবি ব্যবহার করা হয়নি। সংবাদে ব্যবহৃত ছবি যে ইলিশের জাটকা নয় সার্ডিন কিংবা অন্য কোনো মাছ, সে কথাও জোর দিয়ে বলা হয়নি।
ইলিশের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং মোবাইল ফোনে জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বক্তব্যের ভিত্তিতেই সংবাদটি প্রস্তুত করা হয়েছে। সংবাদটির লক্ষ্য ছিল ইলিশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি। সে লক্ষ্যে এখনো দ্য ডেইলি স্টারের অবস্থান প্রকাশিত সংবাদের পক্ষে।
আরও পড়ুন:
জাটকায় ভরে গেছে মানিকগঞ্জের হাট-বাজার
Comments