চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, এএসআই সাময়িক বরখাস্ত
চট্টগ্রামে টেরিবাজার এলাকায় পুলিশ হেফাজতে দোকানের কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় নগর পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আজ শনিবার এএসআই কামরুল হাসানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি, দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এএসআই কামরুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। গিরিধারী চৌধুরীকে মারধরের যে অভিযোগ উঠেছে তদন্তে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু, তার সঙ্গে কাপড়ের বস্তা নিয়ে কামরুলের টানাটানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া, দোকানের আরেক কর্মচারী নিখিল ও রিকশাচালককে এএসআই কামরুলের চড় থাপ্পড়ের বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত মার্চ মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বক্সিরহাট বাজারের একটি দোকানের কর্মচারীকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে মারধরের ভিডিওটিও বিবেচনায় নিয়ে এই তিন কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
অন্য দুই পুলিশ কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে জানান ডিসি।
গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় টেরিবাজারের একটি মার্কেটের দোকানে বস্তাভর্তি কাপড় বের করার সময় দোকানের কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরী (৬৫) ও নিখিলকে টেরিবাজারের নিরাপত্তাকর্মীরা বাঁধা দেয় ও বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কামরুল হাসান তাদের ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে গিরিধারী চৌধুরী অসুস্থবোধ করলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরে এএসআই কামরুল ও দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনা তদন্ত করতে নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানান ডিসি মেহেদী হাসান।
Comments