নারায়ণগঞ্জে র্যাবের তত্ত্বাবধানে ৫৫ সদস্য আইসোলেশনে
নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত র্যাবের বর্তমান ও সাবেক ৫৫ জন সদস্য নারায়ণগঞ্জে আইসোলেশনে রয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরের ও শহরের পুরাতন কোর্টে অবস্থিত ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানিতে দুটি আইসোলেশন সেন্টারে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোববার বিকেলে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, র্যাবের বর্তমান ৫০ ও সাবেক পাঁচ জন সদস্যের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে ভিড় হওয়ায় র্যাব-১১ ব্যারাকের চতুর্থ তলার ওপর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১৪০ শয্যা ও ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানিতে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। আক্রান্তরা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
তিনি আরও বলেন, আইসোলেশন সেন্টারে র্যাবের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ৬০টি শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের জেনারেল দ্বারা জারি করা করোনা ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল অনুসারে অক্সিজেন সিলিন্ডা, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, পোর্টেবল ইসিজি মেশিন, ২৪ ঘণ্টা রোগী বহনের জন্য অক্সিজেন সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সসহ যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে।
তিনি জানান, চিকিৎসাধীন র্যাবের সদস্যদের সদর দপ্তরের মেডিকেল অফিসার, সিএমএইচ, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ও জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন চিকিৎসা পরামর্শ দিচ্ছেন। ওষুধ হিসেবে জিংক ট্যাবলেট, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পাত্রে তাদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও ফল, লেবু, আদা, লবঙ্গ, কালোজিরা ও প্রতিদিন চা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দৈনিক ব্যবহারের জন্য ফেস মাস্ক, পিভিসি হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ন্যাপকিন দেওয়া হচ্ছে। তাদের জন্য আলাদা প্রার্থনা কর্নার, গরম পানির বাথরুম, বৈদ্যুতিক কেটলি, টিভি ও সংবাদপত্র দেওয়া হচ্ছে। তাদের রুম জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, আক্রান্ত র্যাব সদস্যদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই।
Comments