পিয়ানিচের বার্সায় আসা নির্ভর করছে আর্থুরের উপর!
সেই ২০১৬ সালেই তৎকালীন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে চেষ্টা করেছিলেন মিরালেম পিয়ানিচকে বার্সেলোনায় আনতে। কিন্তু পেরে ওঠেননি। সম্প্রতি আবারও তাকে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ক্লাবটি। তাকে পাওয়ার খুব কাছাকাছিও চলে গিয়েছে কাতালানরা। যদিও তাকে পেতে হলে জুভেন্টাসকে দিতে হবে তরুণ মিডফিল্ডার আর্থুর মেলোকে। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম দিয়ারিও এএস।
২৩ বছর বয়সী আর্থুর অবশ্য বার্সা ছাড়তে নারাজ। এর আগে বেশ কয়েকবারই জানিয়েছেন ন্যু ক্যাম্পে সুখেই আছেন। বিশেষকরে ইতালিতে যাওয়ার কথা চিন্তাও করছেন না। তাই এ ট্রান্সফারের সব কিছুই এখন নির্ভর করছে এ ব্রাজিলিয়ান তরুণের উপর। এএসের সংবাদ অনুযায়ী, আর্থুরকে রাজি করাতে তার সঙ্গে ফের আলোচনায় বসবেন বার্সেলোনার কর্তারা।
বার্সা থেকে অবশ্য ভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জুভেন্টাসকে। ইভান রাকিতিচ কিংবা আর্তুরু ভিদালকে দিতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি জুভেন্টাস। আর্থুরকে দিলেই পিয়ানিচকে ছাড়বে তারা। অন্যথায় রিলিজ ক্লজের অর্থ গুনতে হবে কাতালানদের। যা বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকটাই অসম্ভব। বার্সা অবশ্য এ প্রস্তাব বিবেচনা করছে। আর্থুরের সঙ্গে আলোচনার পরই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
তবে গত সপ্তাহেও আর্থুর বলেছিলেন, 'গুঞ্জন সবসময়ই থাকবে। কিন্তু সত্যি বলতে কি আমি বার্সেলোনায় থাকতে চাই। এটা আগেও পরিষ্কার করে বলেছি। আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত এবং নিরুদ্বেগ। এ ক্লাবকে আমার ঘরের মতো মনে হয়। সকল কোচিং স্টাফকে ধন্যবাদ আমাকে শান্তিতে রাখার জন্য। বার্সায় থাকার এটাও একটা কারণ।'
কিন্তু পিয়ানিচকে পেতে মরিয়া বার্সেলোনা। সের্জিও বুসকেতসের ক্যারিয়ার শেষ দিকে থাকায় মাঝ মাঠে একজন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার চায় তারা। এছাড়া লম্বা পাসে একজন দক্ষ খেলোয়াড়ের দিকেও মনোযোগ তাদের। যেটাতে বেশ দক্ষ পিয়ানিচ। বার্সায় বর্তমানে এমন কোনো খেলোয়াড় নেই।
সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুভেন্টাসের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ফ্যাবিও পারাতিচিও এ ট্রান্সফার প্রসঙ্গে বলেছেন, 'বার্সেলোনার সঙ্গে পিয়ানিচ ও আর্থুরের অদলবদল নিয়ে আলোচনা চলছে। কারণ এটা ভিন্ন এক রকম গ্রীষ্ম। আমরা এখন নগদ কম খরচ করে অদলবদলে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। তবে অবশ্যই তা হতে হবে সৃজনশীল। এছাড়া লম্বা সময়ের জন্য ধারে খেলোয়াড় আনার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।'
বার্সেলোনায় অবশ্য বেশ সুখেই আছেন আর্থুর। ন্যু ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একাদশে জায়গা প্রায় পাকা তার। করোনাভাইরাসের কারণে মাঝ পথে থেমে যাওয়া মৌসুমেও ২৩ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। যার মধ্যে ১২টি লা লিগা ও ৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি।
Comments