করোনাভাইরাস

মৃত্যু আড়াই লাখ ছাড়াল, আক্রান্ত প্রায় ৩৬ লাখ

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৬ লাখ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন সাড়ে ১১ লাখের বেশি মানুষ।
Corona
সুরক্ষা পোশাক পরে আছেন ওয়াশিংটনের এক স্বাস্থ্যকর্মী। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৬ লাখ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন সাড়ে ১১ লাখের বেশি মানুষ।

গত ১১ জানুয়ারিতে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল। করোনায় মৃত্যুর তথ্য বলছে, ১১ জানুয়ারি প্রথম মৃত্যুর পর ২ এপ্রিল ৫০ হাজার ছাড়ায় করোনায় মুত্যু। এরপর ১০ এপ্রিল এটি এক লাখ, ১৭ এপ্রিল দেড় লাখ ও ২৬ এপ্রিলে দুই লাখ ছাড়িয়ে যায়। আর এর আট দিন পর ৫ মে এসে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫১০ জনে।

আজ মঙ্গলবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৪৬৯ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৫১ হাজার ৫১০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩৮ জন।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৮০ হাজার ২৮৮ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ হাজার ৯২২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ১৮০ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেনে। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন ২৫ হাজার ৪২৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩৪৩ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৭৯ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৯৩৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৭৯ জন।

এ ছাড়া, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৩২ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৮০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯১০ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন, মারা গেছেন ২৫ হাজার ২০৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৪৭৬ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৫২ জন, মারা গেছেন ৬ হাজার ৯৯৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৬৪৭ জন, মারা গেছেন ৬ হাজার ২৭৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৯ হাজার ৩৭৯ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৫৯ জন, মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৬১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ১৬৬ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৬৫ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৭০৯ জন।

নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে রাশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৬৮ জন, মারা গেছেন ১ হাজার ৩৫৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫ জন। ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৬৬ জন, মারা গেছেন ৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৫ হাজার ৮১৫ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০ হাজার ১৪৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ১৮২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২০৯ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, আগের দুই করোনাভাইরাস সার্স ও মার্সের তুলনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।

ডব্লিউএইচও’র হিসাব অনুযায়ী, ২০০৩ সালে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকুইটি রেসপিরেটরি সিনড্রোম) করোনাভাইরাসে মারা যান ৭৭৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৮ জন।

অন্যদিকে, ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরেক করোনাভাইরাস মার্সে (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৪, মারা গেছেন ৮৫৮ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now