আর্জেন্টিনার বিপক্ষে করা ওয়েনের সেই গোল দেখেই অনুপ্রাণিত আগুয়েরো

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের কথা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে একক দক্ষতায় কাটিয়ে দুর্দান্ত এক গোল করে ইংলিশদের এগিয়ে দেন মাইকেল ওয়েন। আর সেই গোল দেখে চোখ যেন ছানাভরা সের্জিও আগুয়েরোর। তখন তার বয়স ১০ ছুঁইছুঁই। সেই গোল দেখেই ফুটবলার হওয়ার আত্মবিশ্বাস মিলে তার।
Sergio Aguero

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের কথা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে একক দক্ষতায় কাটিয়ে দুর্দান্ত এক গোল করে ইংলিশদের এগিয়ে দেন মাইকেল ওয়েন। আর সেই গোল দেখে চোখ যেন ছানাভরা সের্জিও আগুয়েরোর। তখন তার বয়স ১০ ছুঁইছুঁই। সেই গোল দেখেই ফুটবলার হওয়ার আত্মবিশ্বাস মিলে তার।

সম্প্রতি পুমা ও থিয়েরি অরিঁর সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ আড্ডায় আগুয়েরো বলেছেন, 'যখন আমি ছোট ছিলাম, আমি মাইকেল ওয়েনকে দেখতাম। এটা আমি সবসময়ই বলেছি, এমনকি আমার বইয়েও। আমি তাকে পছন্দ করতাম কারণ সে ছোট ছিল। তার জার্সি নম্বর ১০ ছিল যেমন এখন আমি আমার ক্লাবে পরি এবং সে ফরোয়ার্ডও ছিল।'

লম্বায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতা আগুয়েরো। ইংলিশ লিগে অনেকটাই বেমানান। কারণ এ লিগের প্রায় সব খেলোয়াড়ই ছয় ফুট কিংবা তার উপরে। সে তুলনায় এ উচ্চতা নিয়ে দাপটের সঙ্গে খেলাটা কিছুটা কঠিনই মনে করতেন আগুয়েরো। তবে সমান উচ্চতার ওয়েনকে দেখে কাঙ্ক্ষিত আত্মবিশ্বাসটা পান আগুয়েরোর। ইংলিশ লিগে তিনিও প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন তা অনুভব করতে পারেন এবং পরে তা করেও দেখিয়েছেন।

'আমি নিজেকে বলতাম যদি আমি তার মতো ছোটখাটো হই, তারপরও আমি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ভালো করতে পারবো। তখন আমি আসলেই অনেক ছোট ছিলাম। আমার তখন ৯-১০ বছর বয়স ছিল। এটা ১৯৯৮/৯৯ এর দিকে। সে ইংল্যান্ডের হয়ে একটা দুর্দান্ত গোল করেছিল। আমি তখন বাচ্চা এবং আমি যখন গোলটি দেখেছিলাম নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি প্রতিবেশীদেরও সঙ্গে আমি বিশ্বকাপ দেখেছিলাম এবং তাদের সবাইকে বলেছিলাম আমি ওয়েনকে পছন্দ করি।' - সেই গোলের বর্ণনা দিতে গিয়ে আরও বলেন আগুয়েরো।

এছাড়া ইংলিশ লিগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন এ আর্জেন্টাইন, 'প্রিমিয়ার লিগ পৃথিবীর অন্যতম সেরা লিগ কিন্তু প্রথমে আমার ইচ্ছা ছিল ইউরোপে যাব এবং খেলব। আমি খুব বেশি চিন্তা করেনি, এটাই ইচ্ছা ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল অনুশীলন আর অনুশীলন এবং প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়া, এরপর দেখা যাবে… সৌভাগ্যবশত আমি দুটি সেরা লিগে খেলেছি তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি ইংলিশ পছন্দ করি। আপনি যে ম্যাচটাই খেলেন না কেন এখানকার পরিবেশ অনেক দারুণ এবং স্টেডিয়াম পূর্ণ থাকে। আমার দৃষ্টিতে ফুটবল অনেক দ্রুত। আমি এটা ভালোবাসি। '

অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে চার বছরের অধ্যায় শেষে ২০১১ সালে ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসেন আগুয়েরো। শুরুতে ১৬ নম্বর জার্সি পাওয়া খেলোয়াড়টি এখন ক্লাবের সবচেয়ে মর্যাদার ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলেন। আর নয় বছরের ক্যারিয়ারে সিটিকে অনেক আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন। জিতেছেন ১৪টি শিরোপা।

বিশেষকরে ২০১১-১২ মৌসুমে কিউপিআরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে শিরোপা এনে দেওয়ার ঘটনা হয়তো আজীবন মনে রাখবে সিটি সমর্থকরা। আর চলতি জানুয়ারিতে বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে অরিঁর করা ইংলিশ লিগে সর্বোচ্চ ১৭৫ গোল করার রেকর্ডও ভেঙ্গেছেন আগুয়েরো। এখন পর্যন্ত সিটির হয়ে ১৮০ গোল করেছেন তিনি।

Comments