কোহলির সঙ্গে রুবেলের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত যেখান থেকে
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দেখলেই শরীরে আলাদা ঝাঁজ টের পান রুবেল হোসেন। বাড়তি কিছু করে তাকে আউট করতে চান, এমনকি কোহলির মুখের কাছে গিয়ে বুনো উল্লাস করতেও তুমুল আগ্রহ তার। কোহলির সঙ্গে রুবেলের এই সাপে-নেউলে সম্পকের সূত্রপাত নাকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসারও বেশ আগে থেকে!
শুক্রবার রাতে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল তার ধারাবাহিক ফেসবুক লাইভে যুক্ত করেছিলেন তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেনকে। সেখানেই বেরিয়ে আসে কোহলির সঙ্গে রুবেলের উত্তাপময় সম্পর্কের কথা।
তামিমই রুবেলের কাছে জানতে চান, ‘কোহলিকে দেখলে তুই এত তেতে যাস কেন, কোথা থেকে এই লড়াইয়ের ব্যাপারটা এসেছে?’
রুবেল জানান কোহলিকে তিনি চেনেন সেই যুব পর্যায় থেকে। ২০০৮ সালে দুজনেই নিজ নিজ দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে দেখা হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশের। তখন থেকেই নাকি কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্ব লেগে আছে রুবেলের, ‘আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি। তখন থেকে ওর সঙ্গে একটু দ্বন্দ্ব লেগে আছে। ও তখন অনেক বেশি স্লেজিং করত। হয়তো জাতীয় দলে একটু কমেছে, তবে অনূর্ধ্ব-১৯-এ প্রচুর স্লেজিং করত। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা ম্যাচ ছিল, ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে। ও প্রচণ্ড পরিমাণে স্লেজিং করছিল, আমাদের যে ব্যাটসম্যান নামছিল তাকেই গালিগালাজ করছিল উল্টাপাল্টাভাবে। কীভাবে গালিগালাজ করছিল, সেটি আমরা সবাই জানি।’
নীরিহ স্লেজিংয়েই থেমে ছিল না ঘটনা। এক পর্যায়ে দুজন দুজনের দিকে তেড়েও গিয়েছিলেন, ‘ওর সঙ্গে ওখানে খুব খারাপ একটা ঘটনা ঘটে। আমি ওকে আউট করার পর গালিগালাজ করেছিলাম। এরপর ও ব্যাটটা উল্টো করে ধরে ছিল আমার দিকে। আমাকে একটা গালি দিয়েছিল। তখন আমি ওর দিকে যাচ্ছিলাম, ও আমার দিকে তেড়ে আসছিল। যা হয় এরকম সময়ে, আম্পায়ার এসে বিষয়টা সামলান। তখন থেকেই ওর সঙ্গে আমার একটু দ্বন্দ্ব। এরপর থেকে জাতীয় দলে ওর সঙ্গে আমার দুয়েক দিন বেধেছে এরকম। শুরু হয় মূলত অনূর্ধ্ব-১৯ থেকেই।’
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোহলিকে আউট করে বুনো উল্লাস করেছিলেন রুবেল। যদিও পরে ম্যাচটা জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
Comments