ঈদের পরই প্রিমিয়ার লিগ চায় ক্রিকেটারদের সংগঠন

করোনাভাইরাসের কারণে এক রাউন্ড পরই বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। মহামারির প্রকোপ বাড়তে থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা এই লিগের চলতি মৌসুম আর হবে কি-না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কিন্তু এই অবস্থার মাঝেই ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ঈদের পরপরই স্বাস্থ্যবিধি মেনে লিগ চালু করার দাবি জানিয়েছে।

শনিবার অনলাইনে লিগ চালুর বিষয়ে বৈঠক করেন কোয়াবের নেতারা। বিসিবি পরিচালক ও  কোয়াব সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে এই সভায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল, সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন, সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান ও হাবিবুল বাশার সুমন। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ছাড়াও ছিলেন তুষার ইমরান, এনামুল হক জুনিয়র, জহুরুল ইসলাম, শাহরিয়ার নাফীস ও নুরুল হাসান সোহান।

পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সংগঠনটি জানায়, ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে লিগ শুরু করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে চিঠি দেওয়ার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

ক্রিকেট খেলুড়ে সব দেশেই সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ আছে। এমনকি কোথাও চালু নেই অনুশীলনও। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় কবে সব স্বাভাবিক হবে তা কেউই বলতে পারছেন না। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দেশের বেশিরভাগ স্থানীয় ক্রিকেটারদের আয়ের একমাত্র ক্ষেত্র। তাই এই লিগ নিয়ে তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অনেক বেশি।

স্থানীয় ক্রিকেটারদের কথা ভেবে প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে এরই মধ্যে কথা বলেছেন জাতীয় দলের তারকারাও। সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দাবি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রথমেই প্রিমিয়ার লিগ চালু করতে হবে। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা ভাবতে পারে বিসিবি। তবে কোয়াব চাইছে ঈদের পরপরই লিগ চালু করতে।

শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৭০ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জনের। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বন্ধ আছে দেশের বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গেল মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে চলছে স্থবিরতা।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago