ভারতের বিপক্ষে দর্শকশূন্য মাঠে খেললেই সুবিধা অস্ট্রেলিয়ার!
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমলে চলতি বছর দর্শকবিহীন মাঠে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের নির্ধারিত সিরিজ আয়োজনের আলাপ চলছে। দর্শকশূন্য মাঠে খেলার এমন ভাবনায় বেশিরভাগ ক্রিকেটারই জানিয়েছেন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম উসমান খাওয়াজা। অজি এই ব্যাটসম্যান মনে করেন, স্বাগতিক হলেও দর্শকছাড়া খেলা হলে সুবিধা পাবে অস্ট্রেলিয়াই।
করোনার মহামারিতে বন্ধ থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফের কবে শুরু হবে তার ঠিক নেই। অনিশ্চয়তা আছে অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও। তবে বিশ্বকাপের পর পর সূচি থাকা ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সম্ভাবনা জোরালো। অর্থনৈতিক দিক থেকে লোভনীয় সিরিজটি আয়োজন করতে উদ্বগ্রীব দুই বোর্ডই।
সতর্কতামুলক হিসেবে বছরের শেষ দিকের সেই সিরিজটিও দর্শকশূন্য মাঠে করার ভাবনা চলছে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এমন ভাবনায় আপত্তি জানিয়েছেন। তার সঙ্গে একমত হয়ে ডেভিড ওয়ার্নারও জানান, দর্শক না থাকলে ক্রিকেটারদের সেরা ছন্দ বের করা মুশকিল।
২০১৮-১৯ মৌসুমে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে চার টেস্টের সিরিজে স্বাগতিকদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। সেই সিরিজে অজিদের টপ অর্ডারে খেলা খাওয়াজা মনে করেন, ভারতের বিপক্ষে দর্শক না থাকলে বরং নিজ দেশে পরবাসী হওয়ার অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাবে অস্ট্রেলিয়াই, ‘দর্শকবিহীন মাঠে খেলা হলে অস্ট্রেলিয়াই সুবিধা পাবে। কারণ গতবার যখন ওরা এল, মেলবোর্নে ওদের সমর্থকই বেশি ছিল। ভারত যখন ভাল খেলছিল তখন তাদের হইচই বেড়ে গেল, তখন বুঝতে পারছিলাম না কোথায় আছি!’
‘এ একেবারে অদ্ভুত অনুভূতি। ভারতে খেলা হলে ভারতের সমর্থক বেশি থাকবে, সেটা স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশিত। কিন্তু যখন নিজের দেশেও (অস্ট্রেলিয়ায়) ওদের সমর্থক বেশি দেখি, অদ্ভুত লাগে।’
কেবল মেলবোর্ন নয়, আরেক বড় শহর সিডনিতেও প্রবাসী ভারতীয়দের স্রোতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় অজিরা, ‘এমনকি সিডনিতেও অস্ট্রেলীয় সমর্থকদের চেয়ে ভারতীয়দের পাল্লা ভারি ছিল। ওদের হইরই দেখে বোঝা মুশকিল ছিল যে খেলাটা অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে নাকি ভারতে।’
Comments