লালমনিরহাটে চেয়ারম্যান-মেম্বার দ্বন্দ্বে ত্রাণ বঞ্চিত হতদরিদ্ররা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে ত্রাণ সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ফলে, ওই উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ত্রাণ সুবিধাভোগীর তালিকা উপজেলা পর্যায়ে জমা হলেও টংভাঙ্গা ইউনিয়নে এখনো জমা হয়নি।
ওই ইউনিয়নের ১১ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কিছু সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করেছেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেছেন, সদস্যদের সঙ্গে সভা না করে রেজুলেশন ছাড়াই ত্রাণ উত্তোলন করে চেয়ারম্যান একাই বিতরণ করছেন।
ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে পরিষদ চালাচ্ছেন। সেখানে আমাদের কোনো মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। নিজের পছন্দের মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। আর এতে প্রকৃত দুস্থরা বাদ পড়ে যাচ্ছেন। আমরা সব সদস্য মিলে চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
তবে, ইউপি সদস্যদের এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন টংভাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান আতি। তিনি বলেন, ত্রাণের সুবিধা ভোগীদের তালিকা তৈরি নিয়ে আমাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে জরুরিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। যখনই আমি ত্রাণ বরাদ্দ পাচ্ছি তখনই সব সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তালিকা নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছি। তারপরও এমন অভিযোগ দুঃখজনক। আমাদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে, তালিকাও প্রস্তুত আছে, সমঝোতা হলেই জমা দেওয়া হবে।’
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, ‘ওই ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি’র সাথে ইউনিয়ন কমিটি’র দ্বন্দ্বের কারণে তালিকা তৈরি সম্ভব হয়নি। কয়েকজন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। সম্ভবত তারা ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনা করে তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
Comments