যশোরে চিকিৎসক-সাংবাদিকসহ আরও ২০ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন

যশোর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই চিকিৎসক, দুই সেবিকা ও এক সাংবাদিকসহ আরও ২০ জন সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ২৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
Jessore Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

যশোর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই চিকিৎসক, দুই সেবিকা ও এক সাংবাদিকসহ আরও ২০ জন সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ২৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২০ জনের মধ্যে কেশবপুরের ১০ জন, সদর উপজেলার পাঁচ জন, চৌগাছার তিন জন, বাঘারপাড়ায় একজন ও মণিরামপুরের একজন।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘উপজেলায় যে ১০ জন সুস্থ হয়েছেন, গত ২৫ ,২৭ ও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে তাদের করোনা শনাক্ত হয়েছিলো। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পরীক্ষায় তাদের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।’

যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ বলেন, ‘যশোর সদরের পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন গত ২৭ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এ ছাড়া, একজন ২৩ এপ্রিল ও আরেকজন ২৪ এপ্রিল শনাক্ত হন।’

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, ‘উপজেলার তিন জনের মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল দুই জনের ও ২৫ এপ্রিল অপরজনের করোনা শনাক্ত হয়। করোনামুক্ত হওয়ার পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে তিন জনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।’

মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘উপজেলার একজনের করোনা গত ২০ এপ্রিল শনাক্ত হয়। তিনিই যশোর জেলায় প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হন। দ্বিতীয় রিপোর্টের ফলাফলেও তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে তৃতীয় ও চতুর্থ পরীক্ষায় তার ফলাফল নেগেটিভ আসে।’

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘করোনামুক্ত হওয়ার পর ওই ২০ জনকে মেডিকেল ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সে সময় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।’

‘যশোরের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। জেলায় মোট ২৪ জন করোনামুক্ত হলেন। সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন আরও ৪৯ জন’, যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago