গার্দিওলাকে ফের মেসিদের কোচ বানাতে চান লাপোর্তা
হুয়ান লাপোর্তা বার্সেলোনার সভাপতি থাকাকালে মূল দলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। তার অধীনে চার মৌসুমে ১৪টি শিরোপা জিতে ইউরোপের সেরা ক্লাবে পরিণত হয়েছিল কাতলানরা। সেই অনবদ্য সাফল্যের স্বাদ বার্সাকে আবারও পাইয়ে দিতে চান লাপোর্তা। তাই গার্দিওলাকে ফের লিওনেল মেসিদের কোচ পদে ফেরাতে চান তিনি। তবে এই প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে আগামী ২০২১ সালের সভাপতি নির্বাচনে জয়ী হতে হবে তাকে।
২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার সভাপতি ছিলেন লাপোর্তা। তিনি দায়িত্ব পালনকালে গার্দিওলা ক্লাবটির মূল দলের কোচ হয়েছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মেসি-জাভি-আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের কোচিং করিয়েছিলেন সাবেক এই স্প্যানিশ ফুটবলার। সেসময় দুটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনটি লা লিগা ও দুটি ক্লাব বিশ্বকাপসহ আরও অনেক শিরোপা জিতেছিল বার্সা।
মঙ্গলবার আবারও বার্সেলোনার সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন লাপোর্তা। কাতালান রেডিও স্টেশন টিভি থ্রিকে তিনি বলেছেন, ‘আমি নিজেকে সভাপতি পদের একজন প্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার জন্য কাজ করছি। আমি আগেও সভাপতি ছিলাম এবং ফিরে আসার ব্যাপারে আমি রোমাঞ্চিত।’
বার্সার ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ গার্দিওলা এখন আছেন ইংলিশ পরাশক্তি ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্বে। তার চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। তবে তিনি চুক্তি নবায়ন করবেন কি-না তা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। কারণ, আগামী দুই মৌসুমের জন্য ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে ম্যান সিটিকে। ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার ‘ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতি’ লঙ্ঘন করেছে দলটি। তারা অবশ্য আপিল করেছে এই শাস্তির বিরুদ্ধে।
গার্দিওলাকে ন্যু ক্যাম্পে ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়ে বার্সার সাবেক সভাপতি লাপোর্তা বলেছেন, ‘আমি গার্দিওলার ফিরে আসাটা খুব পছন্দ করব। তবে এখন সে সিটিতে রয়েছে এবং পেপকেই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। (কোচ হিসেবে) বার্সেলোনার জন্য একটি মানদণ্ড তিনি। অনেক কাতালান লোকই চায় তিনি যেন আবারও বার্সার কোচ হন।’
উল্লেখ্য, বার্সার বর্তমান সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ২০১৫ সাল থেকে দায়িত্বে আছেন। কিন্তু সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম ও ক্লাবের পরিচালকদের পক্ষ থেকে।
বার্তোমেউ নিজের ভাবমূর্তি বাড়াতে দলের বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়-কর্মকর্তারদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটাতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে গণমাধ্যমের এই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে বার্সার পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। সবশেষ গেল এপ্রিলে বার্তোমেউয়ের সঙ্গে মতভেদের জেরে একসঙ্গে পদত্যাগ করেন ক্লাবটির ছয় জন পরিচালক।
Comments