ভুয়া দর হাঁকানোয় মুশফিকের ব্যাটের নিলাম সাময়িকভাবে বন্ধ

নিলাম প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। কারণ, নকল নাম-পরিচয় ব্যবহার করে হাঁকানো হচ্ছে ভুয়া দর।
mushfiqur rahim double century
ছবি: এএফপি (ফাইল)

যে ব্যাট দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটা নিলামে তুলেছেন মুশফিকুর রহিম। উদ্দেশ্য, বিক্রির অর্থ দিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি হওয়া অচলাবস্থায় সংকটে পড়া অসহায় মানুষদের সাহায্য করা। কিন্তু নিলাম প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। কারণ, নকল নাম-পরিচয় ব্যবহার করে হাঁকানো হচ্ছে ভুয়া দর।

গেল শনিবার রাত ১০টা থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছে মুশফিকের ইতিহাস রাঙানো ব্যাটের নিলাম। নিবকো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে ই-কমার্স সাইট পিকাবু ডট কম এটি পরিচালনা করছে। আগামী ১৪ মে রাত ১০টায় শেষ হবে নিলাম।

নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিলাম চলার কথা থাকলেও গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। কারণ, অংশ নেওয়াদের অধিকাংশেরই নাম-পরিচয় নকল, হাঁকানো হচ্ছে আকাশছোঁয়া দর। এতে বিপাকে পড়েন আয়োজকরা। ভুয়াদের বাদ দিয়ে ব্যাট কিনতে আগ্রহী প্রকৃত ক্রেতাদের বাছাই করতে তারা পুরো কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রেখেছেন।

নিলাম বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত মোট ৫৩ বার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকের ব্যাটের দর হাঁকা হয়েছিল। সেখানে ছয় লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের ব্যাটের দাম ছাড়িয়ে যায় ৪১ লাখ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বেশিরভাগই ভুয়া দর হাঁকানোয় প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছেন না আয়োজকরা।

মুশফিকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নিবকোর একজন কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুতই আবার শুরু করা হবে নিলাম প্রক্রিয়া, ‘আমরা আশা করছি যে, এটি যে কোনো সময়ে ফের শুরু করা হবে। এটি অস্বাভাবিক। আমরা দেখেছি যে, ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে প্রক্রিয়াটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমরা একবারে দাম ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছি। তবে কিছু লোক একবারে তার চেয়ে দশগুণ বেশি দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি যে, এটা প্রকৃত দরদাতাদেরকে নিরুৎসাহিত করবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago