কাজে আসছে না জনস্বাস্থ্যের হাত ধোয়ার বেসিনগুলো
হাত ধোয়া কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লালমনিরহাটে তৈরি করা বেসিনগুলো অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে। গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে উদ্বোধনের দুই-চার দিন পরই বেসিনগুলোতে সাবান সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আবার কিছু বেসিনে পানি সরবরাহের লাইন খুলে গেছে।
করোনা সংক্রমণরোধে মানুষকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ায় উদ্বুদ্ধ করতে জেলায় ১৮টি বেসিন নির্মাণ করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতি উপজেলায় দুটি করে পাঁচ উপজেলা সদরে ১০টি ও জেলা শহরে আটটি বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে ত্রিশ হাজার টাকা।
লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় এলাকার ব্যবসায়ী আশরাফ আলী জানান, প্রথম তিন-চারদিন বেসিনে লোকজন হাত ধুতে আসতেন। সাবান সরবরাহ না থাকায় এখন আর কেউ হাত ধুতে পারছেন না। ফলে বেসিনগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, সাবান কেনার জন্য তিনি পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন এবং ইতিমধ্যে ৪০০ সাবান কিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমাও দিয়েছেন। সাবান না থাকায় বেসিনগুলো কাজে না আসার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে ইএনও উত্তম কুমার রায় বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল থেকে তার কাছে ৪০০ সাবান হস্তান্তর করা হয়েছে মানুষের মাঝে বিতরনের জন্য হ্যান্ড ওয়াশিং বেসিনে দেওয়ার জন্য নয়। বেসিনগুলো সচল রাখতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগই দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারাই বেসিনগুলোর দেখভাল করবে।
এ ব্যাপারে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন বলেন, বেসিনগুলো থেকে সাবান চুরি হওয়ায় সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Comments