শেবাচিমে প্রথমবারের মতো কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে কিডনি ডায়ালসিস ইউনিট। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর পরে এটি চালু করা হলো।
বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস অনেক ব্যয়বহুল হলেও সরকারি হাসপাতালে খরচ হবে মাত্র ২০ হাজার টাকা।
গতকাল বিকালে পটুয়াখালীর বাউফলের বাহেরচরের মো. খসরু আলম সিকদার কিডনি ডায়ালসিসের মাধ্যমে এই হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটের কাজ শুরু হয়। হাসপাতালের তৃতীয় তলার মেডিসিন বিভাগের পাশে এটি স্থাপন করা হয়েছে।
হাসপাতালের নেপ্রোলজি বিভাগের রেজিস্টার ডা. মানবেন্দ্র দাস জানান, কিডনি রোগীদের ৬ মাসে (প্রতি সপ্তাহে ২ বার) ৪৮ বার ডায়ালাসিস প্যাকেজ প্রোগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২ লাখ ৪০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিল নিয়ে থাকে। কিন্তু উন্নত মেশিনারিজ দিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ৬ মাসের প্যাকেজ করা যাবে মাত্র ২০ হাজার টাকায়। এখানে সপ্তায় দুটি করে মোট ৪৮ টি ডায়ালসিসের সুবিধা পাবেন রোগী। ফলে রোগীরা অনেক উপকৃত হবেন।
নেপ্রোলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আলী রুমি বলেন, ‘করোনার কারণে আপাতত সংক্ষিপ্ত পরিসরে ডায়ালসিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
শেবাচিম ইনডোর এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সুদীপ হালদার জানান, পর্যায়ক্রমে এই ইউনিটে ৪০টি ডায়ালসিস মেশিন স্থাপন করা হবে। শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া কিডনির অন্যান্য সকল রোগের চিকিৎসারও ব্যবস্থা আছে।
উল্লেখ্য, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে। তখন থেকেই এখানে কিডনি ডায়ালসিসের ব্যবস্থা ছিল না। ফলে, রোগীদের ঢাকা কিংবা এখানকার বেসরকারি ক্লিনিকে বেশি খরচে ডায়ালসিস করতে হতো। তাই চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে ১০টি কিডনি ডায়ালসিস মেশিন পাঠানো হয় শের-ই-বাংলা মেডিকেলে। জাপানের নিপ্রো কোম্পানির তৈরি এই মেশিনের মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। মেশিন ছাড়াও সহায়ক হিসেবে পাঁচটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, দুটি অটোমেটিক ডায়ালাইজার রিফ্রেশার এবং ডায়ালাইসিস বেডসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়।
Comments