কক্সবাজারের লবণ চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে বিসিকের চিঠি

কক্সবাজারের লবণ চাষীদের ৪ শতাংশ সুদে সহজ শর্তে ঋণ দিতে কক্সবাজারের সাতটি তফশিলী বাণিজ্যিক ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা- বিসিক।
স্টার ফাইল ফটো

কক্সবাজারের লবণ চাষীদের ৪ শতাংশ সুদে সহজ শর্তে ঋণ দিতে কক্সবাজারের সাতটি তফশিলী বাণিজ্যিক ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা- বিসিক।

ব্যাংকগুলো হচ্ছে- সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ও কর্মসংস্থান ব্যাংক।

বিসিকের অধীন কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয় থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়।

বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়, 'চলতি লবণ মৌসুমে ২৮ হাজার ৭৯১ লবণচাষী ৫৭ হাজার ৭২২ একর জমিতে লবণ চাষ করছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের মতো লবণ শিল্পখাতও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনায় মাঠে  লবণ উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে প্রান্তিক চাষীরা। ফলে প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন হলেও চাষীরা এর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। বর্তমানে লবণের দাম, উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। সামগ্রিক বিবেচনায় সরকার প্রদত্ত সুদ ক্ষতি পুনর্ভরণ করে লবণ চাষীদের জন্য রেয়াতি সুবিধায় ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদানের সুযোগ রয়েছে।'

এ নীতিমালা এবং করোনার প্রভাবে সৃষ্ট শিল্পখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কৃষিপণ্যের উৎপাদনে জড়িত কক্সবাজার জেলার লবণ চাষীদের ৪ শতাংশ সুদে রেয়াতি সুবিধায় ঋণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে বিসিকের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান হাফিজুর রহমান। 

কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ভারুয়াখালি ইউনিয়নের লবণ চাষী মোহাম্মদ শরীফ বলেন, মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত লবণ চাষীরা বড়ই কষ্টে আছে। পারছে না লবণ বিক্রি করতে। পাশাপাশি লবণের মূল্য এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে। প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে ১৭০টাকা। আর ওই লবণের উৎপাদন খরচ হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০টাকা। এ সময়ে চাষীদের সহজশর্তে ব্যাংক ঋণ দিলে ভালো হয়।

অগ্রণী ব্যাংক কক্সবাজার প্রধান শাখার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক রনজিত চাকমা বলেন, বিসিকের চিঠি পেয়েছি। ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে পরবর্তীতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

 

Comments