টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আশা দেখছেন না দু প্লেসি

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিও বিশ্বকাপের ভাগ্য নিয়ে শুনিয়েছেন নিরাশার কথা।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নামার আগে অনুশীলনে ফাফ দু প্লেসি। ছবি: এএফপি

অক্টোবরে সূচি থাকা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে এখনও আশাবাদী আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইসিসি। তবে করোনাভাইরাসের বিরূপ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্রিকেটারদের কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসছে অনিশ্চয়তার সুর। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিও বিশ্বকাপের ভাগ্য নিয়ে শুনিয়েছেন নিরাশার কথা।

বুধবার রাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে সরাসরি লাইভ আড্ডায় যোগ দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। দুই ক্রিকেটারের আধঘণ্টার আলাপচারিতায় উঠে আসে অনেক বিষয়।

আড্ডার একদম শেষ পর্যায়ে তামিম দু প্লেসির কাছে বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চান। দু প্লেসি বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শুনিয়েছেন কিছু কঠিন সমীকরণের কথা। প্রথমেই এসেছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সীমাবদ্ধতার কথা, ‘আমি নিশ্চিত না আসলে (বিশ্বকাপ হবে কি-না)। ভ্রমণ একটা বড় ইস্যু হবে অনেক দেশের জন্য। কিছু কিছু দেশে তো আগামী ডিসেম্বর, এমনকি আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে (উড়োজাহাজ চলাচল)।

ভাড়া করা বিমানে দলগুলোকে অস্ট্রেলিয়ায় উড়িয়ে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করার আলাপও চলমান। তবে এতেও সংকট দূরীভূত হচ্ছে না। স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে এক দেশ থেকে আরেক দেশে গেলে যেকোনো মানুষকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের আইসোলেশনে যেতে হচ্ছে। তেমন হলে ক্রিকেটারদেরও বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে অন্তত দুই সপ্তাহ অনুশীলন বাদ দিয়ে বন্দি থাকতে হবে হোটেলে, মনে করিয়ে দেন দু প্লেসি, ‘এমনকি অস্ট্রেলিয়া অন্যদেশের মতো অতটা আক্রান্ত না হলেও কিছু ব্যাপার থেকে যাবে। যেমন বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত থেকে মানুষকে যেতে হবে ওদের দেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে এবং শুধু তা-ই নয়, ওখানে গিয়ে দুই সপ্তাহ আইসোলেশনে থাকা লাগবে। আর আমি জানি না যে, দক্ষিণ আফ্রিকা কবে আবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে।’

এর আগে এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে না বলে নিজের ধারণার কথা জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago