তবুও ফেসবুকের প্রয়োজন দেখছেন না মিঠুন

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। উইকেটরক্ষক হওয়ায় মাঝে মধ্যে সে কাজটাও করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে ক্রিকেট নেই। অন্য সব খেলোয়াড়রা তাই সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে মেতেছেন। কিন্তু সেখানে ব্যতিক্রম মিঠুন। নিজের ব্যক্তিগত কোনো ফেসবুকে একাউন্ট নেই। এমনকি গৃহবন্দী জীবনের এ সময়েও এর কোনো প্রয়োজন দেখছেন না এ ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। নিয়মিত না হলেও উইকেটরক্ষক হওয়ায় মাঝে মধ্যে সে কাজটাও করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে ক্রিকেট নেই। অন্য সব খেলোয়াড়রা তাই সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে মেতেছেন। কিন্তু সেখানে ব্যতিক্রম মিঠুন। নিজের ব্যক্তিগত কোনো ফেসবুকে একাউন্ট নেই। এমনকি গৃহবন্দী জীবনের এ সময়েও এর কোনো প্রয়োজন দেখছেন না এ ব্যাটসম্যান।

বর্তমানে প্রায় নিয়মিত দেশি বিদেশি তারকাদের নিয়ে ফেসবুকে লাইভে মেতেছেন ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসানও তার ফাউন্ডেশন নিয়ে অনেকবারই লাইভে এসেছেন। এছাড়া আরও অনেক ক্রিকেটাররাই বিভিন্ন সময়ে লাইভে আসছেন। সময় দিচ্ছেন ভক্তদের। কিন্তু এসবের কিছুই নির্দিষ্ট সময়ে দেখতে পারছেন না মিঠুন। তবে লাইভ না দেখলেও পরবর্তী ইউটিউবে উঠলে তা দেখছেন তিনি।

ডেইলিস্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপে তামিম-সাকিবদের লাইভ দেখার ব্যাপারে জানতে চাইলে মিঠুন বলেন, 'আমি আসলে লাইভ দেখতে পারি না। কারণ, আমার ফেসবুক নাই। পরে দেখি আর কী ইউটিউবে।'

কথা প্রসঙ্গে এ সময়ে ফেসবুকে একাউন্ট খুলবেন কি-না জানতে চাইলে নেতিবাচক উত্তরই দেন এ ব্যাটসম্যান, 'না, সেরকম কিছু অনুভব করি না। আমার কাছে মনে হয় না যে, এটা খুব একটা কাজের জিনিস। প্রচার-প্রচারণা… আসলে আমার কাছে মনে হয় যে, আসল কাজটা ঠিক মতো করলেই হবে।'

এমন নয় যে বর্তমান পরিস্থিতিতে সময়টা খুব ভালো কাটাচ্ছেন মিঠুন। টানা ঘরে থাকায় কিছুটা বিরক্ত তিনিও, 'ঘরে থাকতে কখনোই ভালো লাগেনি। প্রথমদিকে মানসিকভাবে বেশ কষ্ট হয়েছে। কিন্তু যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে… ভয়ও তো লাগে। আর এখন তো বেশ লম্বা সময় হয়ে গেল। কিন্তু মানসিক অবস্থা ভালো না হলেও ঘরে থাকতেই হবে।'

ঘরে বসে পুরনো খেলা দেখেই সময় কাটাচ্ছেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান, 'পুরনো খেলা দেখা হচ্ছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন চ্যানেলে কিংবদন্তি সাবেক তারকাদের আলোচনা অনুষ্ঠানও দেখানো হচ্ছে। সেগুলো দেখি।'

পাশাপাশি পরিবারকে একটু বেশি সময় দেওয়ার সুযোগ মিলেছে। মিঠুনের ভাষায়, 'এখন তো কাজের কাজ বলতে এটাই (স্ত্রী-সন্তানদের সময় দেওয়া) করা হচ্ছে, পরিবারের সঙ্গে থাকা। ছেলের বয়স তিন বছর নয় মাস। মেয়ের তো মাত্র এক মাস হলো। আর স্ত্রীর কথা বললে, বিয়ের পর তো এবারই প্রথম এত লম্বা সময় ধরে পাশে পাচ্ছে। যখন বিয়ে করেছিলাম, তখন জাতীয় দলে সুযোগ পাইনি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতাম। তাই এখনকার মতো করে পাশে পাওয়া হয়নি কখনও। আর প্রত্যেকটা পরিবারের জন্যই এখন বেশ সংকটপূর্ণ সময়। কাজের মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। বাসার সব কাজ নিজেদের করতে হচ্ছে।'

এমনকি ঘর মোছা বা ঝাড়ু দেওয়ার কাজটাও করছেন খুশী মনেই, 'রান্না আমি পারি না। করতেও হয় না। তবে হ্যাঁ, ঘর মোছা বা ঝাড়ু দেওয়া, বাচ্চাদের রাখা এসব সাহায্য করতে হয়। বড় ছেলেকে গাইড করার দায়িত্ব এখন আমার (হাসি)।'

উল্লেখ্য, নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকে একাউন্ট না থাকলেও তার নামে একটি পেজ রয়েছে। তবে সেটা তিনি নিজে নিয়ন্ত্রণ করেন না বলেই জানিয়েছেন। তার অনুমতি নিয়ে অন্য একজন চালান বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Muhammad Yunus

Chief Adviser Yunus's UNGA trip a critical turning point

Now is the best chance for Bangladesh to strengthen international cooperation.

11h ago