চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ব্যাংক কর্মী, দুই দিনেও লকডাউন হয়নি ব্যাংক
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হলেও ঝুঁকি নিয়েই শাখার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মী ও গ্রাহকের করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সদীপ কুমার দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বুধবার ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার একজন কর্মকর্তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নিয়ম অনুযায়ী বুধবার ও আজ (বৃহস্পতিবার) দুই দফা গিয়েও শাখাটি লকডাউন করতে পারিনি। শাখার ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মীদের বাধার মুখে আমাদের ফিরে আসতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্যাংকটির আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার জোবায়ের হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শাখা লকডাউন করার বিষয়ে আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছি। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
তিনি বলেন, আক্রান্ত এ ব্যাংক কর্মকর্তা সবশেষ অফিস করেছিলেন ৮ মে পর্যন্ত। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ছুটিতে ছিলেন। তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তার পাশে বসেন এমন তিন জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এ শাখা থেকে ১৪টি তৈরি পোশাক কারখানার বেতন-ভাতা হয়। এখন শাখাটি লকডাউনে চলে গেলে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়বে। তাছাড়া অফিসে সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আশা করি আমাদের অন্য কারও মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে না।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ড. শেখ ফজলে রাব্বি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, একজন ব্যাংক কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার দুই দিনেও শাখা লকডাউন না হওয়ায় ঝুঁকি বাড়ছে। দ্রুতই শাখাটি লকডাউনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ীই শাখাটি গতকালই লকডাউন হওয়ার কথা ছিল। এখানে অন্য কোনো সংস্থার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকার সুযোগ নেই।’
Comments