বুন্ডেসলিগায় স্টেডিয়ামে যাওয়ার অনুমতি নেই জার্মান কোচেরও!

দুই মাসের বেশি সময় স্থগিত থাকার পর আবারও মাঠে ফিরছে জার্মান শীর্ষ লিগ বুন্ডেসলিগা। শানিবার থেকেই মাঠে গড়াচ্ছে এ লিগ। ক্লাবগুলোও প্রস্তুত। বিদেশি খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি থাকলেও এ লিগে বেশির খেলোয়াড় জার্মানিরই। তাই স্বাভাবিকভাবে শিষ্যদের খোঁজ-খবর রাখতে মাঠে বসে খেলা দেখতে চান কোচ জোয়াকিম লো। কিন্তু স্টেডিয়ামে যাওয়ারই তার অনুমতি নেই। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে জার্মানির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম বিল্ড।
ফাইল ছবি: এএফপি

দুই মাসেরও বেশি সময় স্থগিত থাকার পর আবারও মাঠে ফিরছে জার্মান শীর্ষ লিগ বুন্ডেসলিগা। শানিবার থেকেই মাঠে গড়াচ্ছে এ লিগ। ক্লাবগুলোও প্রস্তুত। বিদেশি খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি থাকলেও এ লিগে বেশির খেলোয়াড় জার্মানিরই। তাই স্বাভাবিকভাবে শিষ্যদের খোঁজ-খবর রাখতে মাঠে বসে খেলা দেখতে চান কোচ জোয়াকিম লো। কিন্তু স্টেডিয়ামে যাওয়ারই তার অনুমতি নেই! এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে জার্মানির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম বিল্ড।

করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকেই খেলা বন্ধ জার্মানিতে। সম্প্রতি এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমায় লিগ শুরুর ঝুঁকি নিয়েছে লিগ কর্তৃপক্ষ। তবে বাড়তি ঝুঁকি এড়াতে মাঠে থাকছে না কোনো দর্শক। ক্লাবগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ডিএফএলের প্রধান নির্বাহী সেইফের্ট। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, নিরাপত্তা কর্মী ও অন্যান্য যারা আছে সব মিলিয়ে স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ৩০০ জন গ্রহণ করা হবে। এ তালিকায় নাম নেই জার্মান কোচের। টিভিতেই শিষ্যদের খেলা দেখে যাচাই করতে হবে তাকে।

বিল্ডের সংবাদ অনুযায়ী, বুন্ডেসলিগা চলাকালীন সময়ে জার্মান খেলোয়াড়দের কাছাকাছি যাওয়া যাওয়াই নিষিদ্ধ লোর। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সূচি ঘোষণার পর ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ছাড়ার আগ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের এড়িয়েই চলতে হবে তাকে। লো অবশ্য খেলা বন্ধের আগে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। তবে টুর্নামেন্ট চলতি গ্রীষ্মে হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে এক বছর পিছিয়ে গেছে।

ঝুঁকি এড়াতে জার্মান ফুটবল লিগ (ডিএফএল) বেশ কড়াকড়ি নিয়ম করেছে। সব ক্লাবকে ৫১ পৃষ্ঠার একটি নির্দেশিকা দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সপ্তাহে অন্তত দুই বার সকল খেলোয়াড়ের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা আবশ্যক। ম্যাচের সময় কয়েকটি বাসে ভাগ হয়ে আসবে খেলোয়াড়দের। সাইডবেঞ্চে যারা থাকবেন, সবার মাস্ক থাকতেই হবে। বাসেও প্রত্যেকের মধ্যে দেড় মিটার দূরত্ব মেনে বসতে হবে, মাস্কতো আবশ্যক। ড্রেসিংরুমেও একই ব্যবস্থা। ম্যাচের আগে হাত মেলানো, ফটোসেশন বন্ধ। এছাড়া আরও নানা নিয়মকানুন থাকছে।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

28m ago