গৃহবন্দী জীবন ছিল কঠিন তবে শারীরিকভাবে ভালো আছি: মেসি

ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের কারণে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের ফুটবল। এমনকি বাইরে অনুশীলন করার সুযোগও ছিল না। অথচ যখন হাঁটতে শিখেছেন তখন থেকেই ফুটবল তার জীবন সঙ্গী। এমন জীবন কীভাবে ভালো লাগবে লিওনেল মেসির? লাগেওনি। রীতিমতো দুঃসহ হয়ে উঠেছিল তার জীবন। আর টানা ঘরে থাকায় ফিটনেস নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। তবে শারীরিকভাবেও ভালো আছেন রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকা।

করোনাভাইরাসের প্রভাব কিছুটা কমায় জনজীবন স্বাভাবিক করতে লকডাউন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্প্যানিশ সরকার। তাতে আবার ফুটবল লিগ মাঠে ফেরার আভাস মিলেছে। আগামী ১২ জুন থেকে শুরু হতে পারে লা লিগা। আর অনুশীলন করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের। আর তাতেই যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন মেসি।

ঘরে থাকার সময়টা কঠিন হলেও নিজেকে ফিট রাখতে বাসায় নিয়মিত অনুশীলন করেছেন মেসি। সম্প্রতি স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দিপার্তিভো ও স্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'শারীরিক দিক থেকে আমি খুব ভালো আছি। এই দিনগুলোতে আমি বাড়িতেই অনুশীলন করেছি, আমার মনে হয় এটা আমার শারীরিক গড়ন ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। তবে গৃহবন্দী সময়গুলো খুবই কঠিন ছিল। অবশ্য বাচ্চাদের ও আন্তোনেলার সঙ্গে সময়গুলো একসঙ্গে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি।'

গৃহবন্দী জীবনে ইতিবাচক কিছুও দেখছেন মেসি। প্রত্যাশা করছেন এ বিরতি ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন বার্সা অধিনায়ক, হয়তো এই বিরতি আমাদের জন্য ভালো কিছু আনতে পারে। দেখা যাক, যদি আবার খেলা শুরু হয়, তখন আমাদের সন্দেহটা দূর হবে। কার তখন জানা যাবে আমাদের পারফরম্যান্সের লেভেলটা আগের জায়গায় আছে কিনা।'

বর্তমানে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছেন মেসিরা। খুব শিগগিরই হয়তো শুরু হবে দলীয় অনুশীলন। এরপর হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবল। তবে প্রত্যাশাটা একটু নিচেই রাখছেন এ ফুটবল জাদুকর, 'অনুশীলন শুরু করা খেলা মাঠে গড়ানোর প্রথম ধাপ, কিন্তু আমাদের অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হলে চলবে না। আমাদের অবশ্যই সব প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা চালিয়ে যেতে হবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই ম্যাচ শুরু করতে হবে, সেটা অবশ্যই ফাঁকা স্টেডিয়ামে।'

আর প্রত্যাশাটা কম করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবলে ফেরার জন্য আকুল হয়ে আছেন এ আর্জেন্টাইন তারকা, 'ব্যক্তিগত জায়গা থেকে আমি বলব, খেলা শুরুর অপেক্ষায় আর থাকতে পারছি না। আমরা সবাই জানি দর্শকহীন ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলাটা অদ্ভুত হবে। একই সঙ্গে আমরা চাইব না পরিবার থেকে আলাদা থাকতে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Election possible a week before Ramadan next year: Yunus tells Tarique

He said it will be possible if preparations completed, sufficient progress made in reforms and judicial matters

1h ago