স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ঈদের কেনাকাটা

স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মৌলভীবাজার জেলা শহর ও উপজেলার মার্কেটগুলোতে চলছে ঈদের কেনাকাটা। বিশেষ করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে নূন্যতম সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম মানা হচ্ছে না। জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দিলেও এগুলো আমলে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মৌলভীবাজার শহরে ঈদের কেনাকাটা। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মৌলভীবাজার জেলা শহর ও উপজেলার মার্কেটগুলোতে চলছে ঈদের কেনাকাটা। বিশেষ করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে নূন্যতম সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম মানা হচ্ছে না। জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দিলেও এগুলো আমলে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

জেলার সচেতন মহল বলছেন, প্রশাসনের তরফ থেকে দায়সারা দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শনিবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন শপিংমল ও পোশাকের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে কেনাকাটা চলছে। ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

সরকারি নির্দেশনায় ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে দোকান ও শপিংমল খোলার নির্দেশনা ছিল। তবে বিধিনিষেধ না মেনে নির্ধারিত সময়ের আগেই শহরের পশ্চিম বাজার ও সেন্ট্রাল রোড এলাকায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানপাট খুলতে দেখা যায়। অনেকেই আবার নির্ধারিত সময়ের পরেও দোকান চালু রাখছেন।

তবে জেলা শহরের বড় শপিং মল বিলাস ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও এমবি’র মালিক পক্ষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্রেতাদের নিরাপত্তায় মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করেছে। 

একইভাবে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলেও, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই খোলা।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদ আহমদ বলেন, সরকার সীমিত পরিসরে বিধিবিধান দিয়ে দোকান খোলার কথা বললেও এটা মানা হচ্ছে না। যার ফলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। এ ভাইরাস দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা দোকান-মালিক সমিতির আহ্বায়ক বকশি ইকবাল আহমদ বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন জীবিকার কথা বিবেচনা করে দোকান খোলার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক মনে করছি। তবে সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ না মানলে এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যাবে না। অবশ্যই সব ব্যবসায়ীকে নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago