চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ছয় উপজেলার ৩৩ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের দিনভর প্রচারণা শেষে চট্টগ্রামের ছয় উপজেলায় সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

রাতের মধ্যে আরও মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য জোর তৎপরতা চলছে বলেও জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাঁশখালি, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও কর্ণফুলী উপজেলায় তিন লক্ষাধিক মানুষ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।

দেলোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ইফতারির আগ পর্যন্ত আমরা ছয় উপজেলায় ৩৩ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পেরেছি। এ ছাড়াও, বাকি নয় উপজেলায় সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।’

‘রাতের মধ্যে আরও অধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই সবাইকে নিরাপদে নিয়ে আসতে পারব’, যোগ করেন তিনি।

এর আগে, জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ ছয় উপজেলায় সকাল থেকে দিনভর মাইকিং করে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সচেতন করেছে। ছয় হাজার সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রামের (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টের আট হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে।

চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম, চার হাজার ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র (প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুলসহ) প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago