'পিএসজিতেই থাকছেন নেইমার'
গত মৌসুম থেকেই বার্সেলোনায় ফেরার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন নেইমার। যে কারণে নিজের বেতন ভাতাতেও বড় রকমের ছাড় দিতে তৈরি ছিলেন তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তার ইচ্ছাটা হয়তো এবারও পূরণ হচ্ছে না। তাই আপাতত প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতেই (পিএসজি) থাকছেন বলে জানিয়েছেন তার সাবেক মুখপাত্র ওয়াগনার রিবেইরো।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সব ধরণের খেলাই বন্ধ রয়েছে। যদিও কিছু কিছু ফুটবল ফিরতে শুরু করছে। তাও খালি স্টেডিয়ামে। লম্বা সময় বন্ধ হওয়ার পর ফিরলে হয়তো আর্থিক ঘাটতি কিছুটা কমবে। কিন্তু তারপরও ক্ষতির পরিমাণ অনেক। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই পড়বে দলবদলের বাজারে। বড় ট্রান্সফার অনেকটাই অসম্ভব। বিশেষ করে যেখানে নেইমারকে পেতে খরচ করতে হবে দেড়শ মিলিয়ন ইউরোর বেশি।
আর সব কারণে রিবেইরো বলেছেন যে প্যারিসেই থাকতে হচ্ছে নেইমারকে। তাছাড়া একসময় তার মুখপাত্র থাকায় নেইমারের পরিবারের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠতাও আছে। সম্প্রতি ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'আমার মনে হয় পিএসজিতেই থাকছেন নেইমার কারণ এবারের (দলবদলের) বাজার ভিন্ন রকম। অর্থনৈতিক বিশ্ব বদলে যাবে।'
গত মৌসুমে নেইমারকে দলে ফিরে পেতে প্রায় উঠে পড়ে লেগেছিল বার্সেলোনা। খেলোয়াড় অদল বদলের নানা ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিল। এক নেইমারের জন্য ফিলিপ কৌতিনহো, ইভান রাকিতিচ, স্যামুয়েল উমতিতির মতো তিন জন খেলোয়াড় ছাড়তে চেয়েছিল তারা। সঙ্গে কিছু অর্থ দেওয়ার প্রস্তাবও ছিল। কিন্তু এসবে মন গলেনি তাদের। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর এক অঙ্ক কমেও তাকে ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেয় পিএসজি। শেষ পর্যন্ত বার্সা পুরো অর্থ দিতে না পারায় নেইমারকে থেকে যেতে হয় পিএসজিতেই।
তবে এবারের মৌসুমে নেইমারের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে পিএসজি। খেলোয়াড়দের দলবদলের ক্ষেত্রে ফিফার ‘প্রোটেক্টেড পিরিয়ড’ ধারার কারণে তার ‘প্রাইস ট্যাগ’ ১৫০ মিলিয়ন ইউরো করেছে তারা। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। নগদ অর্থের চেয়ে খেলোয়াড় লেনদেনে আগ্রহী ক্লাবগুলো। কিন্তু পিএসজি নগদ অর্থ ছাড়া কোনো কথাই শুনতে রাজি নয়।
Comments