কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যাত্রী পারাপার থামছে না
সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পাবনার বেড়ার কাজীরহাটে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় বিশেষ কৌশলে প্রতিদিন যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কেউ কর্মস্থলে ঢাকার পথে, কেউ আবার স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে আসছে। এভাবে পারাপারে যাত্রীদের থেকে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
জানা যায়, কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যাত্রী পারাপারের নৌযান হলো স্পিডবোট ও লঞ্চ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় দুমাস ধরে এ ধরনের নৌযানের চলাচল বন্ধ আছে। এই সুযোগে যাত্রী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। তবে এ ক্ষেত্রে যাত্রী ওঠানো ও নামানোর জন্য কাজীরহাটের মূল নৌঘাটের পরিবর্তে রাজধরদিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যাত্রীরা বেশ কিছু পথ পায়ে হেঁটে ওই সেখানে যাতায়াত করছেন।
ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের দিক থেকে যাত্রীর চাপ ব্যাপক বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে আরিচা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো কাজীরহাটের কাছে সুবিধাজনক জায়গায় যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যাত্রীদের নামানো হচ্ছে রাজধরদিয়া নামের একটি চর এলাকায়। সেখান থেকে যাত্রীরা আধা কিলোমিটারের মতো পায়ে হেঁটে সিএজিচালিত অটোরিকশায় উঠে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন।
সরেজমিনে কাজীরহাট নৌঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মূল ঘাট একেবারেই ফাঁকা। সেখানে পুলিশের টহলও নজরে পড়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, সাধারণ সময়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রীদের ভাড়া ৮০ টাকা হলেও এখন নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা বা তার বেশি। এ ছাড়াও, কাজিরহাট থেকে কাশিনাথপুর সিএনজির ভাড়াও স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি নিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচলের অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments