নির্দেশনা উপেক্ষা করে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল
অ্যাম্বুলেন্স পার করার অজুহাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরিতে যাত্রী পারাপারের একটি ঘটনা ঠেকিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ বেলা দুইটায় কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পার করার কথা বলে পাঁচ শতাধিক যাত্রী উঠিয়ে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ফেরি-ঢাকা। দৌলতদিয়ায় পৌঁছালেও ফেরিটিকে ঘাটে ভিড়তে দেয়নি পুলিশ। যাত্রী বোঝাই ফেরিটিকে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ যাত্রীদের বাসে তুলে যে যেখান থেকে এসেছিল সেদিকে পাঠিয়ে দেয়।
করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধের নির্দেশ রয়েছে।
এ ব্যাপারে, বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করার জন্য পাটুরিয়া ঘাটের পন্টুনে ফেরি ঢাকা ভিড়বার সঙ্গে সঙ্গে চার-পাঁচ শ যাত্রী হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়ে। ঠাসাঠাসি যাত্রী নিয়ে ফেরিটি দৌলতদিয়ার দিকে রওয়ানা দেয়। পৌঁছানোর পর যখন ঘাটে আনলোড করার প্রস্তুতি চলছিল তখন পুলিশ বাধা দেয়। ফেরির মাস্টার বাধ্য হয়ে সাড়ে তিনটার দিকে যাত্রীদের নিয়ে ফিরে আসেন পাটুরিয়া ঘাটে। কিন্তু যাত্রীরা তখনও ফেরি থেকে নামতে নারাজ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে যাত্রীরা নামেন। পুলিশ কয়েকটি বাস ভাড়া করে যাত্রীদের ঢাকার দিকে ফেরত পাঠিয়েছে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান জানান, করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে গত দুদিন ধরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। এ কারণে বিআইডব্লিউটিসিকে অনুরোধ করা হয় ফেরিগুলিকে মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখতে। কিন্তু আজ দুপুরে পুলিশকে না জানিয়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করার কথা বলে পাঁচ শতাধিক যাত্রী তুলে তা দৌলতদিয়া ঘাটে পাঠানো হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে ফেরিটিকে পাটুরিয়া ঘাটে ফিরিয়ে আনা হয় এবং সকল যাত্রীকে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের খরচে গণপরিবহনে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এসপি আরও বলেন, মহাসড়কে যাত্রী পরিবহন বন্ধে গোলড়ায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা ধরে ওই যাত্রীরা ঘাটে জড়ো হয়েছিল। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নৌপুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদী পারাপার হচ্ছে। এটা বন্ধে পুলিশ গত কয়েকদিনে ১২টি নৌকাকে পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে।
Comments