করোনা রেড জোন চৌমুহনীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে আজ

ছবি: আনোয়ারুল হায়দার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরকে করোনার রেড জোন আখ্যায়িত করে জন স্বাস্থ্য বিবেচনায় সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিসি তন্ময় দাস। আজ বিকেল ৪ টা থেকে ২ জুন পর্যন্ত এ নির্দেশ কার্যকর থাকবে।

গত ১২ মে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে জরুরি অবস্থা জারির আবেদন করেছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস। জেলা প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চৌমুহনীকে করোনা ভাইরাস রেড জোন আখ্যায়িত করে চৌমুহনীতে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে।

তবে, ওষুধের দোকান এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এ ছাড়াও, কাঁচাবাজার শহর থেকে সরিয়ে চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় ও বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী জনান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শুক্রবার বিকেল থেকে চৌমুহনীতে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ কাজ করছে। চৌমুহনী বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কোন যানবাহন যাতে চৌমুহনীতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য পুলিশের ৩ টি তল্লাসি চৌকি (চেক পোস্ট) বসানো হয়েছে। কেউ লকডাউন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও চৌমুহনীতে পুরোপুরি লকডাউন বাস্তবায়ন করা যায়নি। তাই শুক্রবার বিকেল থেকে ২ জুন পর্যন্ত চৌমুহনীতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না। চৌমুহনী শহরে প্রবেশে থাকবে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।’

নোয়াখালী সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. মোমিনুর রহমান জানান, গত ১৫ এপ্রিল নোয়াখালীতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ইতালি প্রবাসী ছিলেন। এরপর থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ধীরে ধীরে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু, গত ১৪ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত দ্রুত হারে করোনা রোগী বাড়তে থাকে। গত ১০ দিনে জেলায় ২০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৭৫ জন। এরমধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ২৩৬ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩৮ জন। তার মধ্যে ডাক্তার ৬ জন, নার্স ৩ জন ও স্বাস্থ্যকর্মী ২৯ জন। এছাড়া পুলিশ ৫ জন, জন প্রতিনিধি ১ জন ও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের চিত্র সাংবাদিক ১ জন। জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার একশ ১৩ জনের।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

39m ago