জানাজা-দাফনের পরে জানা গেল করোনায় আক্রান্ত, স্ত্রী আইসোলেশনে
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যবসায়ী (৬৫) করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তার স্ত্রীরও করোনা শনাক্ত হয়েছে। লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শায়েলা সুলতানা ঝুমা।
তিনি বলেন, উপজেলার চরবাটা এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় চালকল ব্যবসায়ী করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হওয়ার পর গত ২৩ মে তাকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ থাকায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার ও তার স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার ফল পাওয়ার আগেই গত সোমবার দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরে পরিবারের সদস্যরা তথ্য গোপন করে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের সওদাগর হাট এলাকায় তার জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ থেকে আসা করোনা পরীক্ষার ফলাফলে জানা যায় তাদের করোনা পজিটিভ।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. ইবনুল হাসান ইভেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত ব্যবসায়ীর জানাজায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও তার আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিল। তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং কারো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে এসে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর মৃত ব্যবসায়ীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪২০ জন। তাদের মধ্যে বেগমগঞ্জে ২২৪ জন, কবিরহাটে ৫৬ জন, সদরে ৫৪ জন, চাটখিলে ৩০ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৮ জন, সুবর্ণচরে ১৪ জন, সেনবাগে ১১ জন, কোম্পানীগঞ্জে সাত জন ও হাতিয়ায় ছয় জন রয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন।
Comments