দয়া করে আমাকে আর মেরো না: আলভারেজকে রোনালদিনহো

মাঠে প্রতিপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্নের নাম ছিলেন রোনালদিনহো। তাকে আটকানো বেশ কষ্টসাধ্য কাজ ছিল ডিফেন্ডারদের জন্য। তাই মেরেই আটকে ফেলার সহজ পথটা খুঁজতেন তারা। কখনো কখনো এ মারের তীব্রতা মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। এমনই এক ম্যাচে বারবার আহত হওয়ার পর কাতানিয়ার সাবেক ডিফেন্ডার পাবলো আলভারেজকে আর না মারার অনুরোধ করেছিলেন রোনালদিনহো।
ফাইল ছবি: এএফপি

মাঠে প্রতিপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্নের নাম ছিলেন রোনালদিনহো। তাকে আটকানো বেশ কষ্টসাধ্য কাজ ছিল ডিফেন্ডারদের জন্য। তাই মেরেই আটকে ফেলার সহজ পথটা খুঁজতেন তারা। কখনো কখনো এ মারের তীব্রতা মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। এমনই এক ম্যাচে বারবার আহত হওয়ার পর কাতানিয়ার সাবেক ডিফেন্ডার পাবলো আলভারেজকে আর না মারার অনুরোধ করেছিলেন রোনালদিনহো।

বার্সেলোনা ছাড়ার পর ২০০৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে যোগ দিয়েছিলেন রোনালদিনহো। সে সময় কাতানিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচের কথা। রোনালদিনহোকে থামানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় আর্জেন্টাইন ফুল ব্যাক আলভারেজকে। কিন্তু নিজের কাজটি ঠিকভাবে করতে পারছিলেন না তিনি। তাকে প্রায়ই বোকা বানিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়তেন রোনালদিনহো। তাই ফাউল করার বিকল্প কিছু ভাবতে পারেননি আলভারেজ।

সম্প্রতি আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম ক্রাক দিপার্তিভোর সঙ্গে আলাপ কালে এ সকল কথাই বলেছেন আলভারেজ, 'যখন সান সিরোতে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হলো, আমরা ড্রেসিং রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। সে তখন টানেলের মাঝ পথে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। সে তার জার্সি খুলে ফেলে এবং আমাকে দিয়ে বলে, "এটা নাও আলভারেজ, দোয়া করে আমাকে আর মেরো না" সে আমাকে তার জার্সি দিয়েছিলো।'

রোনালদিনহোর মতো আলভারেজও ২০০৮ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব এস্তুদিয়ান্তেস ছেড়ে ইতালিয়ান ক্লাব কাতানিয়াতে যোগ দেন। ছয় বছর সাফল্যের সঙ্গেই খেলেছেন। তবে প্রতিপক্ষের মধ্যে রোনালদিনহো সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল বলে জানান তিনি। এ ব্রাজিলিয়ানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে আরও বলেন, 'রোনালদিনহোকে থামানো অসম্ভবই ছিল। সে যেন বাতাসে ভেসে বেড়াতো। সে নিখুঁত একজন খেলোয়াড়। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড়।'

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

5m ago