ধোনির আপত্তিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে টস হয়েছিল দুবার!
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো বড় মঞ্চ। সেখানে নাকি দুবার টস করতে হয়েছিল! ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে আপত্তি তুলে এমনটাই ঘটিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কেন তা করেছিলেন সেই কারণ জানান তখনকার শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। অবশ্য দুবার টস হেরেও ম্যাচ কিন্তু ঠিকই জিতে নিয়েছিল ভারত।
করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির সময়ে ক্রিকেটাররা সোশ্যাল মাধ্যমগুলোতে বিস্তর আড্ডা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রবীচন্দ্র অশ্বিনের সঙ্গে তেমনি ইন্সটাগ্রাম আড্ডায় যোগ দেন সাঙ্গাকারা।
সেদিন ফাইনালের স্মৃতি মনে করে অশ্বিনই সাঙ্গাকারার সঙ্গে টসের বিভ্রান্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি ড্রেসিংরুমে দাঁড়ানো ছিলাম, দেখলাম দুবার টস হলো। ভেতরে গিয়ে কোচকে জিজ্ঞেস করেও উত্তর পেলাম না। আসলে ঘটনাটা কি ছিল?’
সাঙ্গাকারা জানান মুম্বাইয়ে সেদিন দর্শকের ঢেউ ছিল বাঁধনহারা। তাদের হৈ-হুল্লোড় আর চেঁচামেচিতে কিছুই শোনার অবস্থা ছিল না। টসে কলের ডাকও নাকি সেকারণে কানে আসছিল না, ‘এর কারণ ছিল দর্শক। প্রচুর দর্শক ছিল সেদিন। তারা সারাক্ষণই চিৎকার করছিল। শ্রীলঙ্কায় কখনো এমন হয়নি, কেবল ভারতেই দেখা যায় তা। একবার ইডেন গার্ডেন্সে স্লিপে দাঁড়িয়ে নিজের কথাই শুনতে পাচ্ছিলাম না। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতেও একই দশা ছিল।’
“টসে কী ডেকেছিলাম আমার মনে আছে। কিন্তু মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) নিশ্চিত ছিল না আমি কী ডেকেছি। সে বলল ‘তুমি কী টেইলস ডেকেছ?’ আমি বললাম, না, আমি হেডস ডেকেছি।”
‘কাজেই টসে কলের ডান শোনা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। আমি টসে কী ডেকেছিলাম মনে আছে। কিন্তু মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) শুনতে পায়নি আমি কী ডেকেছি। সে বলল “তুমি কি টেইলস ডাকলে?” আমি বললাম “না, আমি তো হেডস ডেকেছি।”’
‘পরে ম্যাচ রেফারি (জেফ ক্রো) যখন বললেন, আমি টস জিতেছি। তখনই মাহি বলল “না না ও জেতেনি, এখানে বিভ্রান্তি আছে।”’
এরপর ধোনির অনুরোধে আবার টস করতে রাজি হন সাঙ্গাকারা। দ্বিতীয়বার টসেও জেতে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এতদিন পর সাঙ্গাকারার মনে হয় টসটা হারলেই বোধহয় ভাল হত সেদিন, ‘জানি না ভাগ্যবান ছিলাম কীনা। যদি টস হারতাম তাহলে হয়ত ভারত আগে ব্যাট করত।’
সেদিন আগে ব্যাট করে ২৭৪ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ভাল হতে থাকা উইকেটে এই রান বেশ সহজ হয়ে যায় ভারতের জন্য। গৌতম গম্ভীর আর ধোনির ব্যাটে চড়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ভারতীয়রা।
Comments