শচীনের কিংবদন্তি হয়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন লক্ষ্মণ

তিনি বলেছেন, দায়বদ্ধতা, প্যাশন ও ক্রিকেটের প্রতি শ্রদ্ধাই শচীনকে কিংবদন্তিদের তালিকায় অনন্য স্থান দিয়েছে।
sachin and laxman
ফাইল ছবি: এএফপি

‘ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর’ তকমা রয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের গায়ে। সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। সাবেক এই তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনি বলেছেন, দায়বদ্ধতা, প্যাশন ও ক্রিকেটের প্রতি শ্রদ্ধাই শচীনকে কিংবদন্তিদের তালিকায় অনন্য স্থান দিয়েছে।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন শচীন। ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়ার, ব্যাট হাতে বহু কীর্তি গড়ার আর ভক্তদের তাক লাগিয়ে দেওয়া গল্প। ২৪ বছরের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি করেছেন মোট ১০০টি। টেস্টে ৫১টি, ওয়ানডেতে ৪৯টি।

দুই সংস্করণেই সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি সর্বাধিক রানের রেকর্ডও শচীনের দখলে। সাদা পোশাকে ২০০ ম্যাচে করেছেন ১৫,৯২১ রান। আর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৪৬৩ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৮,৪২৬ রান। ভারতের হয়ে ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। ২০১১ সালে ঘরের মাটিতে হয়েছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

তবে কেবল এসব ক্রিকেটীয় রেকর্ড নয়, শচীনের ‘শচীন’ হয়ে ওঠার পেছনে তার চারিত্রিক গুণাবলীও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন লক্ষ্মণ। আর তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি।

রবিবার সাবেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান লক্ষ্মণ লিখেছেন, ‘তার নতুনত্বে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার কিংবদন্তি হয়ে ওঠার উপাদান যুগিয়েছে। কিন্তু যা আরও বেশি অনুপ্রেরণামূলক তা হলো তার দায়বদ্ধতা, প্যাশন ও ক্রিকেটের প্রতি শ্রদ্ধা। আর এসবই শচীনকে এই অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। অত্যধিক ভালোবাসা পাওয়া সত্ত্বেও সে মাটিতে পা রেখে চলে যা একটি অবিশ্বাস্য দক্ষতা। এটা তার মহত্বের অন্যতম নিদর্শন।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago