প্রথম আলোর সাংবাদিককে আসামি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/press.jpg?itok=oCxIIKhE×tamp=1590928966)
যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যা মামলায় প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি এবিএম মিজানুর রহমানকে আসামী করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা। আজ রোববার সকাল ১১ টায় বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক জিতেন্দ্র নাথ রায়, কামরুজ্জামান বাচ্চু, জসিম উদ্দিন ও সাংবাদিক মিজানের বাবা আবদুস সালাম।
মানববন্ধনে সাংবাদিক মিজানের ছেলে আফফান উপস্থিত ছিলেন। মিজান বাউফল প্রেসক্লাবের দুই বার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ও বর্তমান তিনি কার্যকরী পরিষদের নির্বাহী সদস্য।
বক্তারা, তাপস হত্যা মামলা সাংবাদিক মিজানকে আসামি করায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
অভিযোগ আছে, মানববন্ধনে অংশ না নেওয়ার জন্য একটি মহল থেকে অধিকাংশ সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।
বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকও জনকণ্ঠ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘ঘটনার শুরুর দিকে মিজান ছিলেন না। আমিসহ কয়েকজনের ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আমাদের সঙ্গে থেকেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন মিজান। অথচ তাকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি অনতিবিলম্বে হত্যা মামলা থেকে মিজানের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি জিতেন্দ্র নাথ বলেন, ‘ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি নিরপরাধ সাংবাদিক মিজানকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
মিজানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবদুস ছালাম মিয়া বলেন, ‘অনিয়মের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের জেরে আমার ছেলেকে বারবার মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যায়ভাবে তাকে শিক্ষকতার চাকরি থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমার পুত্রবধূ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাকেও কয়েক দফায় হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে। হাইকোর্টে রিট করে তাকে চাকরি করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও আমার ছেলেকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুটপাট, মারামারি ও গণধর্ষণসহ ছয়টি মামলায় আসামি করা হয়। সব মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি সরকার দলীয় নেতাদের অনিয়মের বিষয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। সেই জেরে এবার আমার ছেলেকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য,ঈদের আগের দিন ২৪ মে বাউফল পৌরসভার উদ্যোগে থানার পূর্ব পাশে করোনা সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্য বিধি নির্দেশনা সংবলিত তোরণ স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় যুবলীগ কর্মী তাপস কুমার দাস খুন হয়। তাপসের বাড়ি কালাইয়া ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামে।
২৫ মে রাতে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েলকে হুকুমের আসামি করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রাহাত জামশেদসহ ৩৫ জনের নামে মামলা করেন নিহত তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ চন্দ্র দাস। ওই মামলায় ২০ নম্বর আসামি করা হয় সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে।
Comments