৬৬ দিন পর ঢাকার পথে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস

৬৬ দিন পর পঞ্চগড়ের জন্য বরাদ্দকৃত আসনের অর্ধেক ফাঁকা রেখে পঞ্চগড় থেকে ঢাকার পথে ছেড়ে গেছে আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন সার্ভিস চালুর অংশ হিসেবে স্টেশনটিতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়। এ জন্য রেল পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য স্টেশনের বাইরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টিকিট ও মাস্ক দেখে যাত্রীদের স্টেশনের প্লাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। প্লাটফর্মের মূল ফটকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজ করে নিতে সহায়তা করেন রেলের কর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায় মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ট্রেনের ভেতর যাত্রীরা একটি করে আসন ফাঁকা রেখে বসেছেন। এ সময় রেল পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের পিপিই পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
পঞ্চগড়ের স্টেশন মাস্টার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে ঠাকুরগাঁও, পীরগঞ্জ, দিনাজপুর, পার্বতীপুর এবং সান্তাহার স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে রাত নয় টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পৌঁছবে। তবে, করোনা পরিস্থিতির কারণে ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেনটি না থামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ ।
ট্রেনটিতে মোট ৮৯২ টি আসন রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে একটি করে আসন ছেড়ে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ধেক টিকেট বিক্রি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে পঞ্চগড় জেলার জন্য বরাদ্দকৃত আসন হলো ১৮৯ টি।
যার মধ্যে শোভন ১৬২ টি, এসি চেয়ার ১৫ টি এবং এসি সিট ১২ টি। করোনা পরিস্থিতির কারণে পঞ্চগড়ের বরাদ্দের শোভন টিকেট বিক্রি করা হয়েছে ৮১ টি, এসি চেয়ারের টিকেট বিক্রি করা হয়েছে ৭ টি এবং এসি সিটের (বার্থ বগির) টিকেট বিক্রি করা হয়েছে ৬ টি।
এছাড়া প্রথম দিনে একটি অতিরিক্ত এসি বগি সংযুক্ত করায় সেখানে থাকা ৪৮ টি এসি সিটের মধ্যে ২৪ টির টিকেট বিক্রি করা হয়েছিল। অতিরিক্ত বগিসহ মোট ১১৮ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে যায়।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে মোট ১২৪ টি বরাদ্দকৃত আসনের মধ্যে ৬২ টি আসনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান স্টেশন মাষ্টার মো. আখতারুজ্জামান। একইভাবে পীরগঞ্জ, দিনাজপুর, পার্বতীপুর এবং সান্তাহার স্টেশনেও বরাদ্দকৃত আসনের অর্ধেক বিক্রি করা হয়েছে বলে সূত্র জানায় ।
মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সরকারি নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রেল মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পঞ্চগড় থেকে শুধু পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় চলাচল করবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেসসহ অন্য সকল লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।’
Comments