করোনায় ঢাবি শিক্ষক শাকিল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

Shakil Uddin Ahmed.jpg
অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন।

ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদ গত কয়েকদিন দিন ধরে রাজধানীর গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদের ফুসফুসে ইনফেকশন ছিল। করোনা শনাক্ত হওয়ায় তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল।’

‘কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, তিনি আমাদের রেখে চলে গেলেন। অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই’, বলেন তিনি।

প্রক্টর আরও বলেন, ‘যতদূর জানতে পেরেছি অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদের স্ত্রীও একজন অধ্যাপক। উনি একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। এ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।’

অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত ১০ দিন ধরে অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও পরে অবনতি হয়। আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান তিনি।’

অধ্যাপক ফাহমিদুল হক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘করোনা এখন আততায়ীবেশে একেবারে আমাদের সবার উঠোনে হাজির। একটু আগে শুনলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাকিল উদ্দিন আহমেদ মৃত্যুর খবর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ভবনে সর্বশেষ আমি বসবাস করেছি ছয় বছর, একই ফ্লোরে পাশাপাশি ফ্ল্যাট ছিল আমাদের। শাকিল ভাইয়ের ছেলেমেয়ে জারিফ-জারা আমাদের ছেলেমেয়ের প্রায় সমবয়েসী।

ওই পরিবারের সঙ্গে আমার পরিবারের কত স্মৃতি।

ভাবতে পারছি না আর!’

জানা গেছে, ঢাবির স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অপর এক শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।

Comments

The Daily Star  | English
Government notification banning Awami League

Govt bans activities of AL until ICT trial completion

A gazette notification was issued in this regard by Public Security Division of the home ministry

3h ago