খামারে দুর্বৃত্তদের আগুনে ২ হাজার মুরগি পুড়ে ছাই
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় একটি মুরগির খামারে আগুন দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এতে খামারের প্রায় দুই হাজার লেয়ার মুরগি পুড়ে মারা গেছে। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর ও জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বন্ধু পোলট্রি ফার্মের মালিক দীনবন্ধু সেন ও ব্যবসার অংশীদার মো. শাহজাহান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, রাত ১১টা পর্যন্ত তারা খামারে ছিলেন। রাত প্রায় পৌনে তিনটায় খবর পেয়ে খামারে এসে দেখেন আগুন জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা থানায় খবর দেন। পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ডেকে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করে।
অভিযোগ করে তারা বলেন, খামারের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা রাধাকান্ত দাস, মঈন উদ্দিন, সাইদুল, বদরুল, আব্দুল মতিন, আহমদ আলী, হুছন আলী দীর্ঘদিন থেকে খামার বন্ধের জন্য ষড়যন্ত্র করছিল। গত ১ মে রাতে জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের খামারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তখন প্রায় ৫০০ মুরগি মারা যায়।
তারা বলেন, সেই ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রধান করে আরও ১২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করার এক মাস পার হলেও পুলিশ আসামিদের ধরতে পারেনি। এই সুযোগে রাধাকান্ত দাশ, মঈন উদ্দিন ও তার সহযোগীরা ২৪ মে রাতে খামারের পেছন দিকে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। এরাই আজ খামারে আগুন দিয়েছে। বাইরের কেউ তো আর খামারে এসে আগুন দিবে না। আমাদের ২৫৫০ মুরগি ছিল। গত একমাস থেকে ডিম দিচ্ছিল মুরগিগুলো। মুরগির সঙ্গে ৩৫ বস্তা খাবার, ছয় হাজার ডিম পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাধা কান্ত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘খামারে আগুন লাগানোর বিষয়ে আমরা কিছুই জানেন না। মামলা থাকায় পুলিশের ভয়ে আমরা বাড়িতে নেই।’
জুড়ী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। যারা এ অমানবিক কাজ করেছে তারা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। প্রতিদিন অভিযান চালানোর পরও মামলার আসামিদের ধরা যাচ্ছে না। সম্ভবত আসামিরা জুড়ীতে নেই। তাদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করা হয়েছে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালানো হবে।
Comments