ট্রাম্পকে নিয়ে যা বললেন ট্রুডো
ওয়াশিংটন ডিসিতে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভরতদের রাস্তা থেকে সরাতে তাদের ওপর মরিচগুঁড়া ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের কাছে একটি গির্জার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। যে মানুষটিকে কোনো প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গে ঝটপট উত্তর পাওয়া যায় তাকেই দেখা গেল প্রায় ১৭ সেকেন্ড চুপ থাকতে। এরপর তিনি একটু নড়ে উঠেন। নিজের ঠোঁটে কামড় দেন। ‘আহ্’ শব্দ করে নিঃশ্বাস ছাড়েন।
আরও প্রায় চার সেকেন্ড সময় নিয়ে, ডানে-বামে কাঁধ ঝাঁকিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করে বলেন, ‘আমরা… “ভীত-সন্ত্রস্ত” হয়ে দেখছি যুক্তরাষ্ট্রে যা ঘটছে।’
ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ না করে তিনি বলতে থাকেন, ‘জনগণকে একত্রিত করার এটাই সময়। পাশাপাশি, জনগণের কথা শোনার সময় এটা। (এসব থেকে) শিক্ষা নেওয়ারও সময় এটা। একটি দেশ অনেক উন্নয়ন করার পরও বছরের পর বছর সমাজে ন্যায়বিচারের অভাব থেকে যেতে পারে।’
‘একই সঙ্গে কানাডীয়দেরকেও বলার সময় এসেছে, এই সুযোগে তারা যেন এ কথাটি মেনে নেন যে কানাডায় বসবাসকারী কালো মানুষগুলোও প্রতিদিন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কানাডাতেও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা এমন যে, এখানেও জাতিগত বিদ্বেষ রয়েছে। কালো কানাডীয়দের ভিন্ন চোখে দেখা হয়। আমাদের দেশে অনেকেই আবার এই বৈষম্য খালি চোখে দেখতে পান না। কিন্তু, বৈষম্য এ দেশেরও বাস্তবতা।’
‘এখন আমাদেরও এই জাতিগত বৈষম্যের বিষয়টি দেখা প্রয়োজন।… সরকার কেনো কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না— এভাবে না দেখে দেখতে হবে একজন সাধারণ কানাডিয়ানের দৃষ্টিতে। আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। অন্যের কথা শুনতে হবে। ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এই সমস্য দূর করতে কীভাবে আমরা কাজ করতে পারি সেই পথ খুঁজে বের করতে হবে,’ যোগ করেন ট্রুডো।
Comments