যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস; সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক মেডিকেল পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। মাস্ক, গ্লাভস এগুলো ব্যবহার শেষে যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়ার কারণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে দ্বিগুণ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্বল মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আলজাজিরা জানায়, কেবল রাজধানী ঢাকা থেকেই গত মাসে প্রায় ২৫০ টন মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে এসব বর্জ্য সংগ্রহ করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
পরিচ্ছন্নতা কর্মী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তাঘাটে এখন অসংখ্য মাস্ক ও গ্লাভস পড়ে থাকতে দেখা যায়। মানুষ এগুলো ব্যবহার শেষে রাস্তায়ই ফেলে দেয়। কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই সেসব আমাদের তুলে নিতে হয়।’
পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার (ইএসডিও) মহাসচিব শাহরিয়ার হোসেন জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্থানীয় সরকার, পৌর প্রশাসন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্রুত একটি গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজন।’
ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলাও জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের একমাত্র মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থা প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো অনেকেই ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য পিপিই ব্যবহার করছেন। ব্যবহার শেষে তারা এই সরঞ্জামগুলো রাস্তায়ই ফেলে দিচ্ছেন। সরকারকে কোভিড-১৯ এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবতে হবে।’
পাশাপাশি, বর্জ্য থেকে যেন করোনার বিস্তার ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য জনসচেতনতা তৈরিতেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
Comments