লৌহজং নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, এক্সকেভেটর ধ্বংস ভ্রাম্যমাণ আদালতের

টাঙ্গাইলের কালিহতী উপজেলার লৌহজং নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় প্রায় ৮০ লাখ টাকা মূল্যের দুইটি এক্সকেভেটর পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ছবি: স্টার

টাঙ্গাইলের কালিহতী উপজেলার লৌহজং নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় প্রায় ৮০ লাখ টাকা মূল্যের দুইটি এক্সকেভেটর পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বুধবার দুপুর দুইটার দিকে এলেঙ্গা পৌরসভার বাঁশি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপা এ নির্দেশ দেন।

এ ছাড়াও, অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

শামীম আরা নীপা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে নদীর ওপর নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং এলাকার প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে ছিল। গত কয়েকদিন ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন এবং অবৈধ বালু ব্যবসার বিরুদ্ধে ‘বালু মহাল এবং মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০০১’ এর আওতায় উপজেলা প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযান চলছে। ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

জানা যায়, একই ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার কিছু স্থানে গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক অভিযানে অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত এক ডজনেরও বেশি বাংলা ড্রেজার এবং বিপুল পরিমাণ পাইপ করে ধ্বংস করে।

অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত মূল্যবান এক্সকেভেটর বা ড্রেজারগুলো জব্দ না করে কেন ধ্বংস করা হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও নীপা বলেন, ‘ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে এগুলো জব্দ করে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। এগুলো অনেক ভারি। এছাড়া অভিযানের সময় কখনোই চালকদের ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় না। তবে, এবার পুড়িয়ে দিয়ে আমরা মালিকদের বোঝাকে চেয়েছি তারা যেন এগুলো অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে ভাড়া না দেন।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago