নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় মন্ত্রীর ছেলের পিএসসহ গ্রেপ্তার ৫
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গাজী গ্রুপের পরিচালক গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হীরা আছেন বলেও জানা গেছে।
আজ শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভুলতা এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা করেন বিশ্বাস সিরামিক্স অ্যান্ড অটো ব্রিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সাব্বির আহমেদ। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার মাদ্রাসা গলি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ও মন্ত্রীর ছেলের পিএস কামরুজ্জামান হীরা (৪২), রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকার তারাজউদ্দিনের ছেলে মো. মহিউদ্দিন (৩২), গোলাকান্দাইল এলাকার নিপ্রেন্দ্র দাসের ছেলে তাপদ দাস (৩১), একই এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২৮) এবং আব্দুল হালিমের ছেলে রমিজ মিয়া (৩০)।
মামলার বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই মন্ত্রীর ছেলের পিএস হীরার নেতৃত্বে অন্যরা বিশ্বাস সিরামিক্স অ্যান্ড অটো ব্রিকস লিমিটেডের কাছে ২৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এ চাঁদা না দেওয়ায় বিবাদীরা প্রতিষ্ঠানকে নানা ধরনের হুমকিও দিয়ে আসছিলেন। পরে রূপগঞ্জের ওপর দিয়ে অটো ডায়মন্ড ব্রিকসের টাইলস পরিবহনের সময় গাড়ি থেকে চাঁদা দাবি করেন হীরাসহ পাঁচ জন। টাকা না দিয়ে কোনো টাইলস এ পথে যেতে পারবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তারা। এ ঘটনাটি ব্যবস্থাপক সাব্বির ফোনে আমাদের জানান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে তাদের পাঁচ জনকে আটক করা হয়।’
ওসি বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানের জিএম সাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে আটক পাঁচ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।’
এ বিষয়ে গাজী গ্রুপের পরিচালক গোলাম মর্তুজা পাপ্পা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কামরুজ্জামান হীরা আমার পিএস না। আমার পিএসের নাম জামিরুল ও এপিএসের নাম হরিপদ। এ কামরুজ্জামান হীরাকে গ্রেপ্তার করার জন্য কয়েকদিন আগে আমার বাবা এসপিকে বলেছিলেন।’
Comments