৫০ লাখের বেশি পরিবহন শ্রমিকের জন্য পিপিই, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দাবি
পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাজাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গাড়ি চললে পরিবহন শ্রমিকদের সংসার চলে। কোটি কোটি জনগণকে পরিবহনের কাজে ৫০ লাখের বেশি পরিবহন শ্রমিক দিনরাত কাজ করে থাকেন। যেহেতু সবসময় পরিবহন শ্রমিকদের গণমানুষের সংস্পর্শে থাকতে হয়, তাই পরিবহন শ্রমিকরা যেমন সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন, তেমনি যাত্রীরাও ঝুঁকিতে থাকেন।’
সে কারণে সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে যানবাহন চালানোর জন্য অনুরোধ করার পাশাপাশি সরকারের কাছে পরিবহন শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কর্মক্ষেত্রে পিপিই সরবরাহ করার, কোনো শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার, আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা, শ্রমিকদের ১০ টাকা কেজি চাল সরবরাহ এবং নিয়োগপত্র দেওয়ার জোড় দাবি জানান তারা।
তারা আরও বলেন, ‘গত ২৯ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণপরিবহন সচল হওয়ার সময় থেকে সড়ক পরিবহন খাতে পথিমধ্যে কোনো যানবাহন হতে সড়ক-মহাসড়ক ও বাস-ট্রাক টার্মিনালে বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের চাঁদা উত্তোলন করা যাবে না। বিভিন্ন কোম্পানির নামে পরিচালিত যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম পরিহার, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া দেওয়া বন্ধ করতে হবে।’
চাঁদাবাজ ও কোম্পানি পরিচালনার নামে অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
Comments