মহামারির প্রভাবে আরও ধনী হচ্ছেন মার্কিন ধনীরা

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস পাওয়া গেলেও গত আড়াই মাসে বিপুল পরিমাণে আয় বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের।
mark zuckerberg and jeff bezos-1.jpg
জেফ বেজোস ও মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস পাওয়া গেলেও গত আড়াই মাসে বিপুল পরিমাণে আয় বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের।

সিএনএন জানায়, গত তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের কাছে অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো হলেও ধনকুবেরদের ব্যবসার ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের এক রিপোর্ট বলছে, গত ১৮ মার্চ থেকে মার্কিন ধনকুবেররা প্রায় ৫৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার, যা মহামারির শুরুর সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ ধনী ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গ সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন। ফেসবুকের শেয়ারের দাম মহামারি শুরুর দুই মাসের মধ্যেই প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস একাই ১৮ মার্চের পর থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলায় আয় করেছেন।

গত মাসে ‘ফোর্বস’ জানায়, করোনাভাইরাস মহামারি প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর প্রধানদের জন্য লাভের পথ করে দিয়েছে। ২৩ মার্চ থেকে বিশ্বের শীর্ষ ২৫ ধনীর একজনেরও আয় কমেনি বরং বেড়েছে।

এদিকে, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৩ লাখ মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন।

সিএনএন জানায়, নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষত পর্যটন ও সার্ভিস সেক্টরের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা মহামারির সময়ে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সংকটে পড়েছেন।

মহামারি কারণে বিশ্বে সম্পদের বৈষম্য সামনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Comments

The Daily Star  | English

Labour bill put on the shelf

In an almost unheard-of move, President Mohammed Shahabuddin has sent a labour law amendment back to parliament for reconsideration, expressing concern over the proposed punishment of workers for wrongdoings.

4h ago